পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO8 ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী শুনা ভুল হয় না। বিরহের সরেল হােক-না আকুল, তারই মধ্যে একটিমাত্র মিলনের পত্নী সভাকবি । এঁদের দেশের লোক বাচালের সেরা, কথায় পেরে উঠবেন না। আমি বলি সন্ধি কৰু যাক-ক্ষণকালের জন্য মিলনও ক্ষান্ত দিক, বিরহ ও চুপ মেরে থােক। শ্ৰাবণ তো মেয়ে নয় মহারাজ সে পুরুষ, ওঁর গানে সেই পুরুষের মূর্তি দেখিয়ে দিন না। নটরাজ। ভালো বলেছি, কবি । তবে এসে উগ্ৰসেন, উন্মত্তকে বঁধো কঠিন ছন্দে, বীজকে মী করে নীচুক ভৈরবের অনুচর। হৃদয়ে মন্দ্রিল ডমরু গুরুগুরু, ঘন মেঘের ভুরু কুটিল কুকিত । হল রোমাঞ্চিত বনবানান্তর, দুলিলাচঞ্চল বক্ষৌহিন্দোলে । মিলনস্বপ্নে সে কোন অতিথি রে। সঘনবর্ষণ-শব্দ-মুখরিত বজ্ৰসচকিত ত্রান্ত শর্বরী, মালতীবল্লৱী কঁপায় পল্লব করুণ কল্লোলে, কানন শক্তিত বিল্লিকাংকৃত ৷ রাজা। এই তো নৃত্য ! কঠিনের কক্ষপ্লবী আনন্দের নির্বর। এ তো মন ভোলাবার নয়, এ ম্য দোলাবার । সভাকবি। কিন্তু এই দুৰ্দমা আবেগ বেশিক্ষণ সইবে না। ঐ দেখুন, আপনার পরিষদের দং নেপথ্যের দিকে ঘন ঘন তাকাচ্ছে। কড়াভোগ ওদের গলা দিয়ে নামে না, একটু মিঠুয়া চাই রাজা । নটরাজ, শুনলে তো । অতএব কিঞ্চিৎ মিষ্টান্নমিতরেজনাঃ । নটরাজ। প্রস্তুত আছি। তা হলে শ্ৰাবণ পূর্ণিমার লুকোচুরির কথাটা ফাস করে দেওয়া যাক ওগো শ্রাবণের পূর্ণিমা আমার আজি রইলে আড়ালে । স্বপনের আবরণে লুকিয়ে দাড়ালে। আপনার মনে জানি নে একেলা হৃদয়-আঙিনায় করিছ। কী খেলা, ठूभिआअनाग्न भूख कि (क्म्न কি তুমি আপনায় হারালে । একি মনে রাখা, একি ভুলে যাওয়া, একি স্রোতে ভাসা, একি কুলে বাওয়া । কিছু বানিয়ানে কিছু বা পরানে করা লুকোচুরিকেন-যে কে জানে, কিছু বা ছায়ায়কছু বা আলোয় কোন দোলায়-যে নাড়ালে ৷ রাজা। বুঝতে পারলুম না ঐর মনোরঞ্জন হল কি না। সে অসাধ্য চেষ্টায় প্রয়োজন নেই। আম অনুরোধ এই, রসের ধারাবর্ষণ যথেষ্ট হয়েছে, এখন রসের ঝোড়ো হাওয়া লাগিয়ে দাও। নটরাজ। মহারাজ, আপনার সঙ্গে আমারও মনের ভাব মিলছে । এবার শ্রাবণের ভেটীকানি শো যাক। সুপ্তকে জাগিয়ে তুলুক, চেতিয়ে তুলুক অন্যািমনাকে ।