পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ajru SOS G, GIG, GIGI, VITA RC GG, QGযেমন ছাড়া বনের পাখি মনের আনন্দে রে । ঘন শ্রাবণধারা যেমন বঁধন-হারা, বাদল বাতাস যেমন ডাকাত আকাশ লুটে ফেরে। হা রে, রে রে, রে রে, আমায় রাখবে ধরে কে রেদাবানলের নাচন যেমন সকলকানন ঘেরে বীজ যেমন বেগে গৰ্জে ঝড়ের মেঘে, অট্টহাস্যে সকল বিয়- বাধার বক্ষ চেয়ে ৷ সভাকবি। মহারাজ, আমাদের দুর্বল রুচি, ক্ষীণ আমাদের পরিপাকশক্তি। আমাদের প্রতি দয়ামায়া রাখবেন । জানেন তো, ব্ৰাহ্মণা মধুরপ্রিয়াঃ । রুদ্ররস রাজন্যদেরই মানায় । নটরাজ । আচ্ছা, তবে শোনো । কিন্তু বলে রাখছি, রস জোগান দিলেই যে রস ভোগ করা যায় তা নয়, নিজের অন্তরে রসরাজের দয়া থাকা চাই। মম মন-উপবনে চলে অভিসারে আঁধার রাতে বিরাহিণী। রক্তে তারি নূপুর বাজে রিনিরিনি। দুরু দুরু করে হিয়া, মেঘ উঠে গরজিয়া, दिवि न ििन्ने ििन | মম মন-উপবনে ঝরে বারিধারা, গগনে নাহি শশী তারা । বিজুলির চমকিনে মিলে আলো খনে খনে খনে খনে পথ ভোলে উদাসিনী । নটরাজ। অরণ্য আজি গীতহীন, বীর্যধারায় নেচে চলেছে। জলস্রোত বনের প্রাঙ্গণে- যমুনা, তােমরা তারই প্রচ্ছন্ন সুরের নৃত্য দেখিয়ে দাও মহারাজকে। নাচ রাজা। তোমার পালা বােধ হচ্ছে শেষের দিকে পৌঁছল- এইবার গভীরে নামে যেখানে শান্তি, যেখানে স্তব্ধতা, যেখানে জীবনমরণের সন্মিলন। নটরাজ। আমারও মন তাই বলছে। বজে তোমার বাজে বাঁশি সেকি সহজ গান । সেই সুরেতে জাগবি আমি, দাও মোরে সেইকান । ভুলব না। আর সহজেতে, সেই প্ৰাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যুমাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্ৰাণ..। সে বড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে, সপ্তসিন্ধু দিক-দিগন্ত জাগাঁও যে ঝংকারে । , আরাম হতেছিয়া করে সেই গভীরে লিও গো মোরে । অশাতির অন্তরে যেখায় শান্তি সুমহান । নটরাজ। মহারাজ, রাত্রি অবসানগ্ৰায়। গানে আপনার অভিনিবেশ কি ক্লান্ত হয়ে এল। রাজা। কী বলে, নটরাজ। মন অভিষিক্ত হতে সময় লাগে। অন্তরে এখন রস প্রবেশ করেছে। à020