পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४२ রবীন্দ্র-রচনাবলী দুরু দুরু করে মোর বক্ষ, মনের মাঝে বিলিক দিতেছে বিজুলি । দূরে যেন ফেনিয়ে উঠেছে।সমুদ্র- ; তল নেই, কুল নেই তার। মন্ত্র খািটবে মা, খাটবে । এইবার আয়নার সামনে নীচু দেখি তুই, দেখ দেখি কী ছায়া পড়ল। ‘প্রকৃতির নৃত্য । লজ্জা, ছিছি লজ্জা! আকাশে তুলে দুই বাহু অভিশাপ দিচ্ছেন কাকে । নিজেরোমারছেন বহির বেত্র, শেল বিধছেন যেন আপনার মৰ্মে । ওরে বাছা, এখনি অধীর হলি যদি, শেষে তোর কী হবে দশা । আমি দেখব না, আমি দেখব না, আমি দেখব না তোর দর্পণ । বুক ফেটে যায়, যায় গো, বুক ফেটে যায়। কী ভয়ংকর দুঃখের ঘূর্ণিঝঙ্কামহান বনস্পতি ধুলায় কি লুটাবে, ভাঙবে কি অভ্ৰভেদী তার গীেরব। দেখব না, আমি দেখব না তোর দৰ্পণ । R থাক তবে থাক এই মায়া। ; প্ৰাণপণে ফিরিয়ে আনিব মোর মন্ত্রনাড়ী যদি ছিড়ে যায় যাক, ফুরায়ে যায় যদি যাক নিশ্বাস । সেই ভালো মা, সেই ভালো । থাক তোর মন্ত্ৰ, থাক তোরআর কাজ নাই, কাজ নাই, কাজ নাই । নানা না, পড়ু মন্ত্ৰ তুই, পড় তোর মন্ত্ৰ পথ তো আর নেই বাকি ! আসবে সে আসবে সে, আসবে, আমার জীবনমৃত্যু-সীমানায় আসবে। নিবিড় রাত্রে এসে পৌঁছবে পন্থ, বুকের জ্বালা দিয়ে আমি জ্বলিয়ে দিব দীপখানি--” সে আসাৰে ।