পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S89 ब्रौश-शष्नादी “দেখেছি তোমারই পাশে যখন-তখন যেখানে-সেখানে ৷” “আমার পাশেই ও বুক ফুলিয়ে জায়গা করে নিয়েছে আরো পাঁচজনকে ঠেকিয়ে । ও যে প্রগতিশীলা। ভদ্র সম্প্রদায়ের পিলে চমকে যাবে, এইটােতেই ওর আনন্দ।" “শুধু কি তাই, মেয়ে-সম্প্রদায়ের বুকে শেল বিধবে, তাতেও আনন্দ কম নয়।” “আমারও মনে ছিল ঐ কথােটা, তোমার মুখে শোনাল ভালো। আচ্ছা মন খুলে বলে, ঐ মেয়েটির সৌন্দৰ্য কি অন্যায় রকমের নয়, যাকে বলা যেতে পারে বিধাতার বাড়াবাড়ি ।” “সুন্দরী মেয়ের বেলাতেই বিধাতাকে মান বুঝি ?” r “নিঙ্গে করবার দরকার হলে যেমন করে হােক একটা প্রতিপক্ষ খাড়া করতে হয়। দুঃখের দিনে যখন অভিমান করবার তাগিদ পড়েছিল, তখন রামপ্রসাদ মাকে খাড়া করে বলেছিলেন, তোমাকে মা বলে আর ডাকব না। এতদিন ডেকে যা ফল হয়েছিল, না ডেকেও ফল তার চেয়ে বেশি হবে না, ाणिज्यको च्छशिनि आन्ध* न्छ त्याशिल न्य "নিন্দে কিসের " “বলছি। শীলাকে আমার গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম ফুটবলের মাঠ থেকে খড়, খড় শব্দ করতে করতে, পিছনের পদাতিকদের নাসরিয়ে ধোয়া ছেড়ে দিয়ে। এমন সময় পাকড়াশিগিরি- ওকে জান তো, লম্বা গজের অভূক্তিতেও ওকে চলনসই বলতে গেলে বিষম খেতে হয়- সে আসছিল কোথা থেকে তার নতুন একটা ফায়ািট গাড়িতে। হাত তুলে আমাদের গাড়িটা থামিয়ে দিয়ে পথের মধ্যে 'খানিকক্ষণ ই-ভাই ও-ভাই করে নিলে। আর ক্ষণে ক্ষণে আড়ে আড়ে তাকাতে লাগল আমার রঙ-চািট-যাওয়া গাড়ির হুড় আর জরাজীর্ণ পাদানটার দিকে । তোমাদের ভগবান যদি সাম্যবাদী হতেন, তা হলে মেয়েদের চেহারায় এত বেশি উচুনিচু ঘটিয়ে রান্তায় ঘাটে এরকম মনের আগুন জ্বালিয়ে छिन्न न ” "छाँ३ बूविी झु-ि" “ই, তাই ঠিক করেছি, যত শিগগির পারি শীলাকে ক্রাইসলারের গাড়িতে চড়িয়ে পাকড়াশিগিরির নকের সামনে দিয়ে শিঙা বাজিয়ে চলে যাব । আচ্ছ, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, সত্যি করে বলে, তোমার মনে একটুখানি খোচা কি-” “আমাকে এর মধ্যে টান কেন । বিধাতা আমার রূপ নিয়ে তো খুব বেশি বাড়াবাড়ি করেন নি । আর আমার গাড়িখানাও তোমার গাড়িখানার উপর টেকা দেবার যোগ্য নয় ।” অভীক তাড়াতাড়ি চৌকি থেকে উঠে মেঝের উপর বিভার পায়ের কাছে বসে তার হাত চেপে ধরে বললে, “কার সঙ্গে কার তুলনা । আশ্চৰ্য, তুমি আশ্চৰ্য, আমি বলছি, তুমি আশ্চৰ্য । আমি তোমাকে দেখি আর আমার ভয় হয় কোনদিন ফস করে মেনে বসব তোমার ভগবানকে । শেষে কোনো কালে আর আমার পরিত্রাণ থাকবে না । তোমার ঈর্ষা আমি কিছুতেই জাগাতে পারলুম না। অন্তত সেটা জানতে দিলে না। আমাকে । অথচ তুমি জান-” “চুপ করো। আমি কিছু জানি নে। কেবল জানি অদ্ভুত, তুমি অদ্ভুত, সৃষ্টিকর্তায় তুমি অট্টহাসি।” অতীক বললে, “আমাকে তুমি মুখ ফুটে বলবে না, কিন্তু নিশ্চিত বুঝতে পারি, শীলার সম্বন্ধে ভূমি আমার সাইকলজি জানতে চাও । ওকে আমার ঘোরতর অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে । অল্পবয়সে যেমন করে।" সিগারেট অভ্যাস হয়েছিল। মাথা ঘুরত। তবু হাড়তুম না। মুখে লগত তিতে, মনে লগত গর্ব। ও জানে কী করে দিনে দিনে মীেতাত জমিয়ে তুলতে হয় । মেয়েদের ভালোবাসায় যে মন্দকু আছে, সেটাতে আমার ইনসপিরেশন। আমি আটিস্ট । ও যে আমার পালের হাওয়া। ও নইলে আমার তুলি যায় আটকে বালির চরে। বুঝতে পারি, আমার পাশে বসলে শীলায় হৃৎপিণ্ডে একটা লাল রঙের আগুন জ্বলতে থাকে, ডেনজার সিগনাল, তার তেজ প্রবেশ করে আমার শিরায় শিল্পায় - দোষ নিয়ো না তপস্বিনী, ভাবিছ সেটাতে আমার বিলাস, না গো না, সেটাতে আমার প্রয়োজন ।”