পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिन मी &88 একটুও না। এমন ছেলেমানুষ কতবার তোমার দেখেছি, মনে মনে হেসেছি। জানি কিছুদিনের মতো এ খেলা না হলে তোমার চলে না। এও জানি স্থায়ী হলে আরো অচল হয়। হয়তো তুমি কিছু পেতে চাও, কিন্তু তোমাকে কিছু পাবে। এ সইতে পার না।” “বী, আমাকে তুমি অত্যন্ত বেশি জান তাই এমন ঘোরতর নিশ্চিন্ত থাক। জানতে পেরেছ আমার ভালো লাগে মেয়েদের কিন্তু সে ভালো-লাগা নাস্তিকেরই, তাতে বাধীন নেই। পাথরো-গাথা মন্দিরে সে পূজাকে বন্দী করব না। বান্ধবীদের সঙ্গে গলাগলির গদগদ দৃশ্য মাঝে মাঝে দেখেছি, সেই বিহবল ত্ৰৈণেতায় আমার গা কেমন করে। কিন্তু মেয়েরা আমার কাছে নাস্তিকের দেবতা, অর্থাৎ আটিস্টের। আটস্ট খাবি খেয়ে মরে না, সে সাতার দেয়, দিয়ে অনায়াসে পার হয়ে যায়। আমি লোভী নাই, আমাকে নিয়ে যে মেয়ে ঈর্ষা করে সে লোভী। তুমি লোভী নও, তোমার নিরাসক্ত মনের সব চেয়ে বড়ো দান স্বাধীনতা ।” বিভা হেসে বললে, “তোমার স্তব এখন রাখো । আর্টিস্ট, তোমরা সাবালক শিশু, এবার যে খেলােটা ফেঁদেছি তার খেলনাটি না-হয় আমার হাত থেকেই নেবে ।” “নৈব নৈব চ। আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞাসা করি । তোমার ট্রাস্টীদের মুঠো থেকে এ টাকা খসিয়ে নিলে কী করে ।” लक गण इल निश ना निचल कर दीि साल fဈf ? “সব-তাতেই আমাকে বহু দূরে এড়িয়ে যেতে চাও, বিদ্যেতেও ?” “বোকো না, শোনো । আমার ট্রাস্টীদের মধ্যে একজন আছেন আদিত্যামামা । নিজে তিনি গণিতে ফস্টক্লাস মেডালিস্ট। তার বিশ্বাস, যথেষ্ট সুযোগ পেলে অমরবাবুদ্বিতীয় রামানুজম হবেন । ওঁর কন্যা একটুয়ানি প্ৰব্লেম আইনস্টাইনকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা উত্তর পেয়েছিলেন সেটা আমি দেখেছি। এমন লোককে সাহায্য করতে হলে তার মান ধাঁচিয়ে করতে হয়। আমি তাই বললুম, ওঁর কাছে গণিত শিখব। মামা খুব খুশি । শিক্ষাথাতে ট্রাস্টফান্ড থেকে কিছু থোক টাকা আমার হাতে রেখে দিয়েছেন । তারই থেকে আমি ওঁকে বৃত্তি দিই।” অভীকের মুখ কেমন একরকম হয়ে গেল। একটু হাসবার চেষ্টা করে বললে, “এমন আর্টিস্টও হয়তো আছে যে উপযুক্ত সুযোগ পেলে মিকেল আঞ্জেলোর অন্তত দাড়ির কাছটাতে পেঁৗছতে পারত ।” সুযোগ না গেলেও হয়তাে পারবে পৌঁছতে। এখনাে বলে আমার কাছ থেকে টাকাটা নেৰে न !” "খেলনার দাম ?” "ই গো, আমরা তো চিরকাল তোমাদের খেলনার দামই দিয়ে থাকি । তাতে দোষ কী । তার পরে आ0छ चैाखाकूफु ।” "ক্রাইসলারের আজ শ্ৰাদ্ধশান্তি হল এইখনেই। প্রগতিশীলার প্রগতিবেগ ভাঙা ফোর্ডেই নড়নড় করতে করতে চলুক। এখন ও-সব কথা আর ভালো লাগছে না। অমরবাবু শুনেছি টাকা জমাচ্ছেন বিলেতে যাবার জন্যে, সেখান থেকে প্রমাণ করে আসবেন তিনি সামান্য লোক নন।” বিভা বললে, “একান্ত আশা করি, তাই যেন ঘটে। তাতে দেশের গীেরব।” উচ্চকণ্ঠে বললে অভীক, “আমাকেও তাই প্রমাণ করতে হবে, তুমি আশা কর আর নাই কর। ওঁর প্রমাণ সহজ, লজিকের বাধা রান্তায়, আর্টের প্রমাণ রুচির পথে, সে রসিক লোকের প্রাইভেট পথ । সে শ্ৰীভ ট্রাঙ্ক রোড নয়। আমাদের এই চোখে-ঠলি-পরা ঘনি-ঘোরানোর দেশে আমার চলবে না। যাদের দেখবার স্বাধীন দুটি আছে, আমি যাবই তাদের দেশে। একদিন তোমার মামাকে যেন বলতে হয়, আমিও সামান্য লোক নই, আর তার ভাগনীকেও-” "ভািগনীর কথা বােলো না। তুমি মিকেল আঞ্জেলোর সমান মাপের কি না তা জািনবার জন্যে তাকে