পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8. রবীন্দ্র-রচনাবলী “সর্বনাশ ! আমি সামান্য নাতনি, হঠাৎ অতি উচুতে নাগাল পাব না, আপনি বড়োলোক । আমি বলি আর-কিছুদিন যাক, যদি ভুলতে পারি আপনার ডিগ্রিধায়ী রূপ, তা হলে সবই সম্ভব হবে। কিন্তু দাদুর কথা স্বতন্ত্র। এখনই শুরু করে। দাদু, বলে তো, তুমি কাল খেতে এসো, দিদি যদি মাছের বোলে নুন বেশি দিয়ে ফেলে, তা হলে ভালোমানুষের মতো সহ্য কোরো, বোলো, বা কী চমৎকার, পাতে আরো একটু দিতে হবে।” অধ্যাপক সমেহে আমার কাধে হাত দিয়ে বললেন, “ভাই, আর কিছুকাল আগে যদি আমার দিদিকে দেখতে, তা হলে বুঝতে পারতে, আসলে ও লাজুক। সেইজন্যে ও যখন আলাপ করা কর্তব্য মনে করে, তখন জোর করতে গিয়ে কথা বেশি হয়ে পড়ে ।” “দেখেছেন ডক্টর সেনগুপ্ত, দাদু আমাকে কীরকম মধুরকারে শাসন করেন। যেন ইক্ষুদণ্ড দিয়ে। অনায়াসে বলতে পারতেন, তুমি বড়ো মুখরা, তোমাক্স প্ৰগলভ্যতা অত্যন্ত অসহ্য । আপনি কিন্তু আমাকে ডিফেন্ড করবেন। কী বলবেন, বলুন-না।” “আপনার মুখের সামনে বলব না।” “বেশি কঠোর হবে ?” “আপনি জানেন আমার মনের কথা ।” "ठा शज थाकु । ७थन बांद्धि गान।" “একটা কথা বাকি আছে। কাল আপনাদের ওখানে যে নেমন্তয় সে আমার নতুন নামকরণের। কাল থেকে নবীনামাধব নাম থেকে লোপ পাবে ডাক্তার সেনগুপ্ত। সূর্যের কাছে আনাগোনা করতে গিয়ে ধূমকেতুর যেমন লেজটা যায় উড়ে, মুণ্ডটা থাকে বাকি।” “তা হলে নামকর্তন বলুন, নামকরণ বলছেন কেন।” “আচ্ছা, তাই সই।” এইখানে শেষ হল আমার প্রথম বড়েদিন । , বার্ধক্যের কী প্ৰশান্ত সৌন্দর্য, কী সীেম্য মূর্তি। চোখদুটি যেন আশীৰ্বাদ করছে। হাতে একটি পালিশ-করা লাঠি, গলায় শুভ্ৰ পাট-করা চাদর, ধুতি যত্নে কেঁচানো, গায়ে তসরের জামা, মাথায় শুভ্র চুল বিরল হয়ে এসেছে, কিন্তু পরিপটি করে আঁচড়ানো। স্পষ্ট বোঝা যায়। এর সাজসজায় এর দিনযাত্রায় নাতনির হাতের শিল্পকাৰ্য । ইনি যে অতিলালনের অত্যাচার সহ্য করেন, সে কেবল এই মেয়েটিকে খুশি রাখবার জন্যে। আমার বৈজ্ঞানিক খবরকে ছাড়িয়ে উঠল, এঁদের খবর নেওয়া । অধ্যাপকের নাম ব্যবহার করব, অনিলকুমার সরকার। গত জেনেরেশনের কেমব্রিজ য়ুনিভারসিটির পি. এইচ. ডি. দলের একজন । মািসকয়েক আগে একটি ঔপন্যাগরিক কলেজের অধ্যক্ষতা ত্যাগ করে এখানকার স্টেটের একটা পরিত্যক্ত ডাকবাংলা ভাড়া নিয়ে নিজের খরচে সেটা বাসযোগ্য করেছেন । এইটে হল ইতিহাসের খসড়া, বাকিটুকু বঙ্কিমের চিঠি থেকে মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আমার গল্পের আদিপর্ব শেষ হয়ে গেল। ছোটােগল্পের আদি ও অন্তে বেশি ব্যবধান থাকে না। জিনিসটাকে ফলিয়ে বলবার লোভ করব না, ওর স্বভাব নষ্ট করতে চাই নে । অচিরার সঙ্গে স্পষ্ট কথা বলার যুগ এল সংক্ষেপেই। সেদিন চড়িভাতি হয়েছিল তনিকা নদীর 芭a1 অধ্যাপক ছেলেমানুষের মতন হঠাৎ আমাকে জিগগোসা করে বসলেন, “নবীন, তোমার কি বিবাহ G. " প্রশ্নটাি এতই সুস্পষ্ট ভাবব্যাজক যে, আর কেউ হলে ওটা চেপে যেত। আমি উত্তর করলুম, “না, dथानों (टों दक्ष नेि।” অচিরার কাছে কোনো কথাই এড়ায় না। সে বললে, “দাদু, ঐ এখনো শব্দটা সংশয়গ্রান্ত