পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str8 রবীন্দ্র-রচনাবলী করতে ওর মুখে কথা সরল না । এই সংকোচ ভালো লাগল না সোহিনীর । খানসামাকে বললে, “চা-টা ঢেলে দাও-না মোবারক, ঠাণ্ডা হয়ে গেল যে ” খানসামার হাতের পরিবেশন-প্রত্যাশায় রেবতী বিশ মিনিট আগে এখানে আসে নি । কী দুঃখে যে মুখে চামচ উঠছিল। অন্তৰ্যামীই জনছিলেন, আর জানিছিল সোহিনী । হাজার হােক মেয়েমানুষ, দুৰ্গতি দেখে বললে, “ও পেয়ালাটা থাক । দুধ ঢেলে দিচ্ছি, তার সঙ্গে কিছু ফল খেয়ে নাও । সকাল সকাল এসেছি, বোধ হয় কিছু খেয়ে আসা হয় নি।” কথাটা সত্য । রেবতী ভেবেছিল আজও সেই বেটানিকালের পুনরাবৃত্তি হবে। কাছ দিয়েও গেল না, মুখে রয়ে গোল কড়া চায়ের তিতে স্বাদ আর মনে রয়েছে। আশা ভঙ্গের তিতে অভিজাত । এমন সময় প্রবেশ করলেন অধ্যাপক ; ঘরে ঢুকেই রেবতীর পিঠ চাপড়িয়ে বললেন, “কী রে হল কী, সব যে একেবারে ঠাণ্ডা হিম । খুকুর মতো বসে বসে দুধ খাদিকস ঢকে ঢাকা । চার দিকে যা দেখছিস একি খোকাবাবুর খেলনার দোকান ? যাদের চোখ আছে তারা দেখেছে, মহাকালের চেলারা এইখানে আসে তাণ্ডবনৃত্য করতে ” “আহা কেন বকিছেন । না খেয়েই ও বেরিয়েছিল আজ সকালে । এল যখন, তখন দেখলাম মুখ to Spa' " “ঐ রে পিসিমা দি সেকেন্ড : এক পিসিমা দেবে এক গালে চাপড়, আর-এক পিসিমা দেবে অনা গালে চুমো ; মাঝখানে পড়ে ছেলেট, যাবে ভিজে কাদা হয়ে ; আসল কথা কী জািন, লক্ষ্মী যখন আপনি সোধে আসেন চোখে পড়েন না ; যারা সাত মুলুক ঘুরে তঁাকে খুঁজে বের করে, ধরা দেন। তিনি তাদেরই কাছে : না-চেয়ে পাওয়ার মতো না-পাওয়ার আর রান্ত নেই । আচ্ছ বলে দেখি মিসেসদূর হোক গে। ছাই মিসেস, আমি ডাকবই তোমাকে সোহিনী ব’লে, এতে তুমি রাগই করে আর যাই द ।" “মরণ আমার, রাগ করতে যাব কেন । ডাকুন আমাকে সোহিনী বলে, সুহি বললে আমার কান “গোপন কথাটা প্ৰকাশ করেই বলি ; তোমার ঐ সোহিনী নামটির সঙ্গে আর-একটি শজের মিল আছে, বড়ো খাটি তার অর্থ } সকালে ঘুম থেকে উঠেই হিনি হিনি কিনি কিনি রবে ঐ দুটি শব্দ মিলিয়ে মনে মনে থতনি বাজাতে থাকি ৷” “কেমিটির রিসার্চ মিল করা আপনার অভ্যাস আছে, ওটা তারই একটা ফেঁকড়া।” “মিল করতে গিয়ে মরেও অনেক লোক । বেশি ঘাটাঘাটি করতে নেই- ঘোরতর দাহ্য পদার্থ ” এই বলে হাঃ হাঃ শব্দে উচ্চহাস্য করে উঠলেন । “নায়, ঐ জোকারটিার সামনে এ-সব কথার আলোচনা করতে নেই। বারিকদের কারখানায় আজি পর্যন্ত ও অ্যাপ্রেন্টিসি শুরু করে নি। পিসিমার আঁচল ওকে আগলে আছে, সে উমাচল রোবতীর মেয়েলি মুখ লাল হয়ে উঠছিল। “সোহিনী, আমি তোমাকে জিগগোসা করতে যাচ্ছিলুম, আজ সকালে তুমি কি ওকে আফিম খাইয়ে দিয়েছিলে । অমন কিমিয়ে পড়ছে কেন ।” “খাইয়ে যদি থাকি সেটা না জেনে ৷” “রে বু, ওঠ বলছি। ওঠ । মেয়েদের কাছে অমন মুখচোরা হয়ে থাকতে নেই। ওতে ওদের আস্পার্থী বেড়ে যায়। ওরা তো ব্যামোর মতো পুরুষের দুর্বলতা খুঁজে বেড়ায়, চিত্র পেলেই টেম্পরেচয় চড়িয়ে দেয়। হু হু করে। সাবজেক্টটা জানা আছে, ছেলেগুলোকে সাবধান করতে হয়। আমার মতো যারা ঘা খেয়েছে, ময়ে নি, তাদের কাছ থেকেই পাঠ নিতে হয়। রোনু, কিন্তু মনে করিস নে বাবা । যারা কথা কয় না, চুপ করে থাকে, তারাই সব চেয়ে ভয়ংকর। চল দেখি, তোকে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে আসি । ঐ দেখা দুটা গ্যালভানোমিটার, একেবারে হল কায়দার। এই দেৰ হই ভ্যাকুয়ম পাম্প, আর এটা