পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSO রবীন্দ্র-রচনাবলী ভালোবাসা নিয়ে কেবল চোখের জল ফেলে কান্নাকাটি করি নে। ভালোবাসার জন্যে প্রাণ দিতে পারি, প্ৰাণ নিতে পারি। আমার ল্যাবরেটরি। আর আমার বুকের কলিজা, তার মাঝখানে রয়েছে এই ছুরি ।” এই বললেন, ‘এক সমেয় কবিতা লিখতে পারুখ, আজ আবার মেন হচ্ছে হতে পারি " “কবিতা লিখতে হয় লিখবেন, কিন্তু আপনার ফিলজফি ফিরিয়ে নিন। যা না মানবার তাকে আমি শেষ পর্যন্ত মানব না। একলা দাড়িয়ে লড়ব । আর বুক ফুলিয়ে বলব, জিতবই, জিতবই, জিতবই।” “ব্র্যাভো, আমি ফিরিয়ে নিলুম আমার ফিলজফিটা। এখন থেকে লাগবে ঢাকে চাটি তোমার জয়যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে। আপাতত কিছুদিনের জন্যে বিদায় নিচ্ছি, ফিরতে দেরি হবে না।” আশ্চর্যের কথা এই সোহিনীর চোখে জল ভরে এল। বললে, “কিছু মনে করবেন না।” জড়িয়ে ধরলে চৌধুরীর গলা । বললে, “সংসারে কোনো বন্ধনই টেকে না, এও মুহুর্তকালের জন্যে ।” বলেই গলা হেঁড়ে দিয়ে পায়ের কাছে পড়ে সোহিনী অধ্যাপককে প্ৰণাম করলে । So খবরের কাগজে যাকে বলে পরিস্থিতি সেটা হঠাৎ এসে পড়ে, আর আসে দল বেঁধে । জীবনের কাহিনী সুখে দুঃখে বিলম্বিত হয়ে চলে। শেষ অধ্যায়ে কোলিশন লাগে অকস্মাৎ, ভেঙেচুরে স্তব্ধ হয়ে যায়। বিধাতা তার গল্প গড়েন। ধীরে ধীরে, গল্প ভাঙেন এক ঘায়ে । সোহিনীর আইমা থাকেন আম্বালায়। সোহিনী তার কাছ থেকে টেলিগ্রাম পেয়েছে, “যদি দেখা করতে চাও শীঘ্র এসো ।” এই আইমা তার একমাত্র আমীয় যে বেঁচে আছে । এরই হাত থেকে নন্দকিশোর কিনে নিয়েছিলেন সোহিনীকে । নীলাকে তার মা বললে, “তুমিও আমার সঙ্গে এসো।” नैीला वल्ल, "(न (डा किछूड३ शुड श्राद्ध ना ।" “çቐei ቍዘርፏ፪ aff I”

  • ওরা আমাকে অভিনন্দন দেবে তারই আয়োজন চলছে।”
  • ওরা করা ।” “জগনী ক্লাবের মেম্বাররা । ভয় পেয়ে না, খুব ভদ্র ক্লাব। মেম্বরদের নামের ফর্দ দেখলেই বুঝতে পারবে। খুবই বাছাই করা ।”

"GNOMS SOF s" “স্পষ্ট বলা শক্ত । উদ্দেশ্যটা নামের মধ্যেই আছে। এই নামের তলায় আধ্যাত্মিক সাহিত্যিক আর্টিস্টিক সব মানেই খুব গভীরভাবে লুকোনো আছে। নবকুমারবাবু খুব চমৎকার ব্যাখ্যা করে দিয়েছিলেন । ওরা ঠিক করেছে তোমার কাছ থেকে ট্যাদা নিতে আসবে।” “কিন্তু ট্যাদা দেখছি ওঁরা নিয়ে শেষ করেছে। তুমি বোলো-আনাই পড়েছি। ওর হাতে । কিন্তু এই পর্যন্তই। আমার যেটা ত্যাজ্য সেটাই ওরা পেয়েছে। আমার কাছ থেকে আর কিছু পাবার নেই।” “মা, এত রাগ করছে কেন । ওঁরা নিঃস্বাৰ্থভাবে দেশের উপকার করতে চান।” “আচ্ছা সে আলোচনা থােক। এতক্ষণে তুমি বোধ হয় তোমার বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়েছ। যে তুমি স্বাধীন।” “স্থা পেয়েছি।” “নিম্নস্বর্থরা তোমাকে জানিয়েছেন যে তোমার স্বামীর দত্ত অংশে তোমার যে টাকা আছে সে ভূমি যেমন খুশি ব্যবহার করতে পারে।” “ই জেনেছি।”