পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डिन जी SRAV0 একটা পিঠ উচু মখমলে-মোড়া টােকি, মণ্ডলীর ঠিক মাঝখানেই। বুঝতে পারলে সমস্ত জনতার প্রধান লক্ষ্যই। ও । নীলা এসে ওর গলায় মালা পরিয়ে দিলে, কপালে দিলে চন্দনের ফোট । ব্ৰজেন্দ্রবাবু প্ৰস্তাব করলেন ওকে জাগানী সভার সভাপতি পদে বরণ করা হােক। সমর্থন করলেন বন্ধুবাবু, চারিদিকে করতালির ধ্বনি উঠল। সাহিত্যিক হরিদাসবাবু ডক্টর ভট্টাচার্যের ইন্টারন্যাশনাল খ্যাতির কথা ব্যাখ্যা করলেন । বললেন, “রেবতীবাবুর নামের পালে হাওয়া লাগিয়ে আমাদের জাগানী ক্লাবের তরণী খেয়া দেবে পশ্চিম-মহাসমুদ্রের ঘাটে ঘাটে ।” সভার ব্যবস্থাপকেরা রিপোর্টারদের কানে কানে গিয়ে বললে, “উপমাগুলোর কোনোটা যেন রিপোর্ট (शाक दांल नों यांश |” বক্তারা একে একে উঠে-যখন বলতে লাগল। "এতদিন পরে ডক্টর ভট্টাচাৰ্য সায়ন্সের জয়তিলক ভারতমাতার কপালে পরিয়ে দিলেন, রেবতীর বুকটা ফুলে উঠল-- নিজেকে প্রকাশমান দেখলে সভ্যজগতের মধ্যগগনে। জাগানী সভা সম্বন্ধে যে-সমন্ত দাগী রকমের জনশ্রুতি শুনেছিল মনে মনে তার প্রতিবাদ করলে। হরিদাসবাবু যখন বললে, “রেবতীবাবুর নামের কবচ রক্ষাকবচরূপে এ সভার গলায় আজ ঝোলানো হল, এর থেকে বোঝা যাবে। এ সভার উদ্দেশ্য কত মহােচ্চ, তখন রেবতী নিজের নামের গৌরব ও দায়িত্ব খুব প্রবলরাপে অনুভব করলে। ওর মন থেকে সংকোচের খোলসটা খসে পড়ে গেল। মেয়েরা মুখের থেকে সিগারেট নামিয়ে ঝুঁকে পড়ল ওর চৌকির উপর, মধুর হস্যে বললে, “বিরক্ত করছি আপনাকে, কিন্তু একটা অটোগ্রাফ দিতেই হবে।” রেবতীর মনে হল, এতদিন সে যেন একটা স্বপ্নের মধ্যে ছিল, স্বপ্নের গুটি গেছে খুলে, প্রজাপতি বেরিয়ে পড়েছে। একে একে লোক বিদায় হল । নীলা রেবতীর হাত চেপে ধরে বললে, “আপনি কিন্তু যাবেন না।” জ্বালাময় মদ ঢেলে দিলে ওর শিরার মধ্যে । দিনের আলো শেষ হয়ে আসছে, লতাবিতানের মধ্যে সবুজ প্রদোষের অন্ধকার । বেঞ্চির উপরে দুজনে কাছাকাছি বসল। নিজের হাতের উপরে রেবতীর হাত তুলে নিয়ে নীলা বললে, “ডক্টর ভট্টাচাৰ্য, আপনি পুরুষমানুষ হয়ে মেয়েদের অত ভয় করেন কেন।” রেবতী সম্পর্ধাভরে বললে, “ভয় করি ? কখনো না ।” “আমার মাকে আপনি ভয় করেন না ?” ‘ख्या कम कद्भद, अश्वों कलेि !” “আমাকে ?” “निाश ख्श कन्नेि ।” “সেটা ভালো খবর। মা বলেছেন, কিছুতে আপনার সঙ্গে আমার বিয়ে দেবেন না। তা হলে আমি আত্মহত্যা করব ?” “কোনো বাধা আমি মানব না, আমাদের বিয়ে হবেই হবে ।” কঁধের উপর মাথা রেখে নীলা বললে, “তুমি হয়তো জান না, তোমাকে কতখানি চাই।” নীলার মাথাটা আরো বুকের কাছে টেনে নিয়ে রেবতী বললে, “তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই।” "ץ סןזס" “ভাসিয়ে দেব জাত ।” “তা হলে রেজিারের কাছে কালই নোটিস দিতে হবে।” “কালই দেব, নিশ্চয় দেব।” রেবতী পুরুষের তেজ দেখাতে শুরু করেছে। পরিণামটা দ্রুতবেগে ঘনিয়ে আসতে লাগল।