পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিপিকা KOSRS ওকে এমন স্তন্ধ কখনো দেখি নি। মনে হল, নদী যেন চলতে চলতে এক জায়গায় এসে থমকে সরোবর হয়েছে । V) কিছুদিন আগে রৌদ্রের শাসন ছিল প্রখর ; দিগন্তের মুখ বিবৰ্ণ; গাছের পাতাগুলো শুকনো, হলদে, হতাশ্বাস । এমন সময় হঠাৎ কালো আলুথালু পাগলা মেঘ আকাশের কোণে কোণে র্তাবু ফেললে। সূর্যান্তের একটা রক্ত রশ্মি খাপের ভিতর থেকে তলোয়ারের মতো বেরিয়ে এল । অর্ধেক রাত্রে দেখি, দরজাগুলো খড়, খড়, শব্দে কঁপিছে। সমস্ত শহরের ঘুমটাকে ঝড়ের হাওয়া খুঁটি ধরে ঝাকিয়ে দিলে। উঠে দেখি, গলির আলোটা ঘন বৃষ্টির মধ্যে মাতালের ঘোলা চোখের মতো দেখতে। আর, গির্জের ঘড়ির শব্দ এল যেন বৃষ্টির শব্দের চাদর মুড়ি দিয়ে । সকালবেলায় জলের ধারা আরো ঘনিয়ে এল, রৌদ্র আর উঠল না । এই বাদলায় আমাদের পাড়ার মেয়েটি বারান্দার রেলিঙ ধরে চুপ করে দাড়িয়ে । তার বোন এসে তাকে বললে, “মা ডাকছে।” সে কেবল সবেগে মাথা নাড়ল, তার বেণী উঠিল দুলে ; কাগজের নীেকো নিয়ে তার ভাই তার হাত ধরে টানলে । সে হাত ছিনিয়ে নিলে। তবু তার ভাই খেলার জন্যে টানাটানি করতে লাগল। তাকে এক থাপড় বসিয়ে দিলে । বৃষ্টি পড়ছে। অন্ধকার আরো ঘন হয়ে এল। মেয়েটি স্থির দাড়িয়ে । আদিযুগে সৃষ্টির মুখে প্রথম কথা জেগেছিল জলের ভাষায়, হাওয়ার কঠে। লক্ষকোটি বছর পর হয়ে সেই স্মরণ-বিস্মরণের অতীত কথা আজ বাদলার কলম্বরে ঐ মেয়েটিকে এসে ডাক দিলে । ও তাই সকল বেড়ার বাইরে চলে গিয়ে হারিয়ে গেল । কত বড়ো কাল, কত বড়ো জগৎ পৃথিবীতে কত যুগের কত জীবলীলা ! সেই সুদূর, সেই বিরাট, আজ এই দুরন্ত মেয়েটির মুখের দিকে তাকালো মেঘের ছায়ায়, বৃষ্টির কলশব্দে । ও তাই বড়ো বড়ো চোখ মেলে নিন্তব্ধ দাড়িয়ে রইল, যেন অনন্তকালেরই প্রতিমা । V5ľ XV9 NVe মেঘদূত भिलानन थथश निन रैलि की बालश्लि। সে বলেছিল, “সেই মানুষ আমার কাছে এল যে মানুষ আমার দূরের ” আর, বাঁশি বলেছিল, “ধরলেও যাকে ধরা যায় না। তাকে ধরেছি, পেলেও সকল পাওয়াকে যে ইড়িয়ে যায় তাকে পাওয়া গেল।” DS EL SBD D DDDL S DBS কেননা, আধখানা কথা ভুলেছি। শুধু মনে রইল, সে কাছে ; কিন্তু সে যে দূরেও তা খেয়াল রইল । শ্ৰেমের যে আধখানায় মিলন সেইটেই দেখি, যে আধখানায় বিরহ সে চোখে পড়েনা, তাই দূরের পিতৃপ্তিহীন দেখাটা আর দেখা যায় না ; কাছের পর্দা আড়াল করেছে। ।