পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जिकि SR N, একদিন ভোরারাত্রে ঐ দিকে মেয়ের গলায় কান্না উঠল। শুনি, বাড়ির যেটি শেষ ছেলে, শখের যাত্রায় রাধিক সেজে যার দিন চালত, সে আজি আঠারো বছরে মারা গেল । কদিন মেয়েরা কাদাল, তার পরে তাদের আর খবর নেই। তার পরে সকল দরজাতেই তালা পড়ল । কেবল উত্তর দিকের সেই একখানা অনাথ দরজা ভাঙেও না, বন্ধও হয় না ; ব্যথিত হৃৎপিণ্ডের L BBLO D DD BDLL LDDL ES VO) একদিন সেই বাড়িতে বিকেলে ছেলেদের গোলমাল শোনা গেল । দেখি, বারান্দা থেকে লালপোড়ে শাড়ি ঝুলছে। অনেক দিন পরে বাড়ির এক অংশে ভাড়াটে এসেছে। তার মাইনে অল্প, ছেলে-মেয়ে বিস্তর। শ্ৰান্ত মা বিরক্ত হয়ে তাদের মারে, তারা মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে কঁদে । একটা আধাবয়সী দাসী সমস্ত দিন খাটে, আর গৃহিণীর সঙ্গে ঝগড়া করে ; বলে চললুম, কিন্তু যায় ଦ । বাড়ির এই ভাগটায় রোজ একটু-আধটু মেরামত চলছে। ফাটা সাসির উপর কাগজ আঁটা হল ; বারান্দায় রেলিঙের ফ্যাকগুলোতে বাখ্যারি বেঁধে দিলে শোবার ঘরে ভাঙা জানলাইট দিয়ে ঠেকিয়ে রাখলে ; দেয়ালে চুনকাম হল, কিন্তু কালো ছাপগুলোর आठान छोका नgल ना । ছাঁদে আলসের 'পরে গামলায় একটা রোগা পাতাবাহারের গাছ হঠাৎ দেখা দিয়ে আকাশের কাছে লজ্জা পেলে । তার পাশেই ভিত ভেদ করে অশথ গাছটি সিধে দাড়িয়ে ; তার পাতাগুলো এদের দেখে যেন খিলখিল করে হাসতে লাগল। মস্ত ধনের মন্ত দারিদ্র্য । তাকে ছোটো হাতের ছোটো কৌশলে ঢাকা দিতে গিয়ে তার আবরু tोक्त । কেবল উত্তর দিকের উজাড় ঘরটির দিকে কেউ তাকায় নি। তার সেই জোড়ভাঙা দরজা আজও কেবল বাতাসে আছড়ে পড়ছে, হতভাগার বুক-চাপড়ানির মতো । আশ্বিন ১৩২৬ গলি আমাদের এই শানবাধানো গলি, বারে বারে ডাইনে বঁায়ে ঐকে বেঁকে একদিন কী যেন খুঁজতে বেরিয়েছিল। কিন্তু, সে যে দিকেই যায় ঠেকে যায়। এ দিকে বাড়ি, ও দিকে বাড়ি, সামনে বাড়ি। উপরের দিকে যেটুকু নজর চলে তাতে সে একখানি আকাশের রেখা দেখতে পায়- ঠিক তার মতো সরু, তার নিজেরই মতো বঁকা। সেই ইটাে আকাশটাকে জিজ্ঞাসা করে, “বলো তো দিদি, তুমি কোন নীল শহরের গলি।” .