পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नित्रिकों 巴心为 , তার অনুরোধ। যেমনি রাখা হল অমনি মেয়েটির বুকের এক ধার থেকে আর-এক ধারে বারে বারে যেন বজলুটি বিধতে লাগল। সে ভাবলে, “আমি অতি সামান্য তবু আমার কথায় কেন বাধা ঘটবে।” সেই রাতে পাতার বিছানায় একলা জেগে বসে তার নিজেকে নিজের ভয় করতে লাগল। তার পরদিন সকালে সে ফল এনে দাঁড়াল, তাপস হাত পেতে নিলে । পাতার পাত্রে জল এনে দিতেই তাপস জল পান করলে । সুখে তার মন ভরে উঠল। কিন্তু তার পরেই নদীর ধারে শিরীষগাছের ছায়ায় তার চোখের জল আর থামতে চায় না। কী ভাবলে কী জানি । পরদিন সকালে কাঠকুড়নি তাপসকে প্ৰণাম করে বললে, “প্ৰভু, আশীৰ্বাদ চাই ।” তপস্বী জিজ্ঞাসা করলে, “কেন।” মেয়েটি বললে, “আমি বহুদূর দেশে যাব।” তপস্বী বললে, “যাও, তোমার সাধনা সিদ্ধ হোক ৷” V একদিন তপস্যা পূর্ণ হল। ইন্দ্র এসে বললেন, “স্বর্গের অধিকার তুমি লাভ করেছ।” তপস্বী বললে, “তা হলে আর স্বৰ্গে প্রয়োজন নেই।” ইন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন, “কী চাও।” তপস্বী বললে, “এই বনের কাঠকুড়ানকে ৷” NM-PTR yesw ଅସ୍ଣ୍fiନ୍ତି বধুর সঙ্গে তার প্রথম মিলন, আর তার পরেই সে এই প্ৰথম এসেছে প্রবাসে । চলে যখন আসে তখন বন্ধুর লুকিয়ে কান্নাটি ঘরের আয়নার মধ্যে দিয়ে চকিতে ওর চোখে পড়ল। মন বললে, “ফিরি, দুটাে কথা বলে আসি।” কিন্তু, সেটুকু সময় ছিল না। ঃঃ আসবে বলে একজন দুটি চোখ বয়ে জল পড়ে, তার জীবনে এমন সে আর-কখনো 77 | পথে চলাবার সময় তার কাছে পড়ন্ত রোদঘুরে এই পৃথিবী প্রেমের ব্যথায় ভরা হয়ে দেখা দিল । সেই অসীম ব্যথার ভাণ্ডারে তার মতো একটি মানুষেরও নিমন্ত্ৰণ আছে, এই কথা মনে করে বিস্ময়ে তার বুক ভরে উঠল। যেখানে সে কাজ করতে এসেছে সে পাহাড় । সেখানে দেবদারুর ছায়া বেয়ে ধাক পথ নীরব মিনতির মতো পাহাড়কে জড়িয়ে ধরে, আর ছোটাে ছোটাে করুন। কাকে যেন আড়ালে আড়ালে খুঁজে বৈড়ায় লুকিয়ে-চুরিয়ে । আয়নার মধ্যে যে ছবিটি দেখে এসেছিল আজ প্রকৃতির মধ্যে প্রবাসী সেই ছবিরই আভাস লেখে, . নববধূর গোপন ব্যাকুলতার ছবি।