পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OVitr রবীন্দ্র-রচনাবলী Ve দিনের পর দিন যায়। রাজপুত্র জ্যোৎস্নারাত্রে বিছানায় জেগে উঠে চেয়ে দেখে, কাজরীর ছদ্মবেশ একটু কোথাও খসে পড়েছে কি না। দেখে যে, কালো মেয়ের কালো চুল এলিয়ে গেছে, আর তার দেহখানি যেন কালো পাথরে নিখুঁত করে খোদা একটি প্রতিমা । রাজপুত্ৰ চুপ করে বসে ভাৱে, 'পী কোথায় লুকিয়ে রইল, শেযরাতে অন্ধকারের আড়ালে উষার মতো।” রাজপুত্র ঘরের লোকের কাছে লজ্জা পেলে । একদিন মনে একটু রাগও হল। কািজয়ী সকালবেলায় বিছানা ছেড়ে যখন উঠতে যায় রাজপুত্র শক্ত করে তার হাত চেপে ধরে বললে, “আজি তোমাকে ছাড়ব না- নিজরূপ প্ৰকাশ করো, আমি দেখি ।” এমনি কথাই শুনে বনে যে হাসি হেসেছিল। সে হাসি আর বেরোল না, দেখতে দেখতে দুই চোখ छ(a ७6 g । রাজপুত্র বললে, “তুমি কি আমায় চিরদিন ফাকি দেবে।” সে বললে, “না, আর নয় ।” রাজপুত্র বললে, “তবে এইবার কাৰ্তিকী পূর্ণিমায় পরীকে যেন সবাই দেখে।” পূর্ণিমার চাঁদ এখন মােঝ-গগনে। রাজবাড়ির নহবতে মাঝরাতের সুরে বিমি বিমি তান লাগে। রাজপুত্র বরসজা পরে হাতে বরণমালা নিয়ে মহলে ঢুকাল ; পরী-বাউয়ের সঙ্গে আজ হবে তার শুভদৃষ্টি । শয়নঘরে বিছানায় সাদা আস্তরণ, তার উপর সাদা কুন্দযুল রাশি-করা ; আর উপরে জানলা বেয়ে GJER vGCR আর, কাজরী ? Qi (see Gre দুল্ল ধৰি বাজল। চন পশ্চিমে হেলেছে। একে একে ঠৰে ঘৰ ভরে লে। কই ? রাজপুত্র বললে, “চলে গিয়ে পরী আপন পরিচয় দিয়ে যায়, আর তখন তাকে পাওয়া যায় না।” KRI YO ୬୩୩ আমার জানলার সামনে রাঙামাটির রান্ত । ওখান দিয়ে বোঝাই নিয়ে গোরুর গাড়ি চলে ; সাওতাল মেয়ে খড়ের আঁটি মাথায় করে হার্ট RNR, VGR VGF VGG GG || কিন্তু, মানুষের চলাচলের পথে আজ আমার মন নেই। জীবনের যে ভাগটা অস্থির, নানা ভাবনায় উদবিগ্ন, নানা চেষ্টায় চঞ্চল, সেটা আজ ঢাকা পড়ে গেছে। শরীর আজ রুগণ, মন আজ নিরাসক্ত । ঢেউয়ের সমুদ্র বহিরতলের সমুদ্র ; ভিতরতলে যেখানে পৃথিবীর গভীর গর্ভশয্যা, ঢেউ সেখানকার কথা গোলমাল করে ভুলিয়ে দেয়। ঢেউ যখন থামে। তখন সমূদ্র আপনি গোচরের সঙ্গে অগোচরের, গভীরতলের সঙ্গে উপরিতলের অখণ্ড ঐক্যে স্তন্ধ হয়ে বিরাজ করে।