পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sirr রবীন্দ্র-রচনাবলী কলেজের সার্জন-জেনেরাল হাতের আস্তিন গুটিয়ে বসে ছিল ; তার ভীষণ জেদ, মাথার ঐ জায়গাটাতে ইসরূপ দিয়ে ফুটাে করে সেইখানে রবারের ছিপি এঁটে গালা লাগিয়ে সীলমোহর কৰে। দেবে, ইহকাল-পরকালে ওখান দিয়ে আর টিকি গজাতে পারবে না। চিকিৎসাটা ইহকাল ডিঙিয়ে পরকালেই গিয়ে ঠেকবে এই আশঙ্কায় ও কোনোমতেই রাজি হল না । আমাদের এই ‘সে পদার্থটি ক্ষণজন্ম বটে ; এমনতরো কোটিকে গোটিক মেলে মিথ্যে কথা বানাতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্ৰতিভা । আমার আজগবি গল্পের এত বড়ো উত্তরসাধক ওস্তাদ বহু ভাগে জুটেছে। গল্প-প্রশ্নের উত্তরপাড়ার এই যে মানুষ, মাঝে মাঝে একে পুপূদিদির কাছে এনে হাজির করি।- দেখে তার বড়ো চোখ আরো বড়ো হয়ে ওঠে । খুশি হয়ে বাজার থেকে গরম জিলিপি এনে খাইয়ে দেয়।— লোকটা অসম্ভব জিলিপি ভালোবাসে, আর ভালোবাসে শিকদারপাড়া গলির চমচম। পুপূদিদি জিগোস করে, তোমার বাড়ি কোথায়। ও বলে, কোননগরে, প্রশ্নচিহ্নের গলিতে । নাম বলি নে কেন । নাম বললে ইনি যে কেবলমাত্র ইনিতেই এসে ঠেকবেন, এই ভয় । জগতে আমি আছি। একজন মাত্র, তুমিও তাই, সেই তুমি আমি ছাড়া আর-সকলেই তো সে । আমার গল্পের সকল সে’র উনি জামিন । একটা কথা বলে রাখি, নইলে অধৰ্ম হবে । ওকে মাঝে রেখে, যে পালা জমানো হয়েছে তার থেকে যারা বিচার করে তারা ভুল করে ; যারা তাকে চক্ষুষ দেখেছে তারা জানে লোকটা সুপুরুষ, চেহারা সুগভীর। রাত্তিরে যেমন তারার আলোর ছড়াছড়ি, ওর গান্তীর্য তেমনি চাপা হাসিতে ভরা। ও পয়লা নম্বরের মানুষ, তাই কোনো ঠাট্ট মাসকরায় ওকে জখম করতে পারে না। ওকে বোকার মতো সাজাতে আমার মজা লাগে, কেননা ও আমার চেয়ে বুদ্ধিমান । অবুঝের ভান করলেও ওর মানহানি হয় না : সুবিধে হয়, পুপুর স্বভাবের সঙ্গে ওর মিল হয়ে যায়। NR এর মধ্যে পপেদিদি গেছে দাৰ্জিলিঙে । সে রইল মাথা ঘষা গলিতে একলা আমার জিন্মায় । তার ভালো লাগছে না । আমিও জ্বালাতন হয়েছি। বলে, আমাকে দাৰ্জিলিং পাঠাও । আমি বললুম, কেন । সে বললে, পুরুষমানুষ বেকার বসে আছি, আত্মীয়স্বজন ভারি নিন্দে করছে। কী কাজ করবে, বলে । পূপেদিদির খেলার রান্নার জন্যে খবরের কাগজ কুচিকুচি করে দেব। এত মেহন্নত সইবে না। একটু চুপ করো দেখি । আমি এখন ইহাউ দ্বীপের ইতিহাস লিখছি। ! উহাউ নামটা শোনাচ্ছে ভালো, দাদা। ওটা তোমার চেয়ে আমার কলমেই মানাত ঠিক । বিষয়টার একটু আমেজ দিতে পার কি । ঠাট্ট নয়, বিষয়টা গভীর, কলেজে পাঠ্য হবার আশা রাখি। একদল বৈজ্ঞানিক ঐ শূন্য দ্বীপে বসতি বেঁধেছেন। খুব কঠিন পরীক্ষায় প্রবৃত্ত । একটুখানি বুঝিয়ে বলো- কী করছেন তারা । হাল নিয়মে চাষবাস করছেন ? একেবারে উলটো চাষের সম্পর্ক নেই। আহারের কী ব্যবস্থা । একেবারেই বন্ধ । ଖ୍ଯାତୀତ ? সেই চিন্তাটাই সব চেয়ে তুচ্ছ। পাকযন্ত্রের বিরুদ্ধে ওঁদের সত্যাগ্ৰহ। বলছেন, ঐ জঠরষত্রটার इ:ल ल ल ल ल ण् ष्, ष्, विशाल शक्ल पित