পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OSbr . রবীন্দ্র-রচনাবলী গোবরা । তা দিক গে। ছাড়া হবে না। খুঁজে বের করবই। যা থাকে কপালে। পষ্ণু। ভেকু বলে, গাছে চড়লেই তবে বাবার চেহারা ধরা পড়ে, যখন নীচে থাকেন চেনবার জো (FS উদ্ধো। গাছে চড়িয়ে চড়িয়ে মানুষকে পরখ করব কী করে, ভাই। আমি এক বুদ্ধি করেছি, আমার আমড়া গাছ আমড়ায় ভরে গেছে, যাকে দেখছি তাকেই বলছি, আমড়া পেড়ে নাও- গাছটা প্রায় Rrs G. M, VITETIG (SSSR || . পষ্ণু। আর দেরি নয় রে, চল। কপালের জোর যদি থাকে তবে দর্শন লাভ হবেই। একবার গলা ছেড়ে ডাক দে-না, ভাই ! গেছে। বাবা, ও বাবা, দয়াল বাবা, পারুলবনে কোথাও যদি থােক লুকিয়ে, একবার অভাগাদের দর্শন দাও । গোবরা । ওরে হয়েছে রে, দয়া হল বুঝি। পষ্ণু । কই রে, কই। গোবরা । ঐ-যে চালতা গাছে । পষ্ণু। কী রে, চালতা গাছে কী। দেখছি নে তো কিছু। গোবরা । ঐ-যে দুলছে। পষ্ণু । কী দুলছে। ও তো লেজ রে । উধো । তোর কেমন বুদ্ধি গোবরা, ও বাবার লেজ নয় রে, হনুমানের লেজ । দেখছিস নে মুখ उ]७ं ? গোবরা । ঘোর কলি যে ! বাবা ঐ কপিরূপ ধরেছেন আমাদের ভোলাবার জন্যে । পষ্ণু । ভুলছি নে, বাবা, কালামুখ দেখিয়ে ভোলাতে পারবে না। যত পার মুখ ভাঙাও, নড়ছি নে- তোমার ঐ শ্ৰীলেজের শরণ নিলুম। গোবরা । ওরে, বাবা যে লম্বা লাফ দিয়ে পালাতে শুরু করল রে । পষ্ণু । পালাবে কোথায় । আমাদের ভক্তির দৌড়ের সঙ্গে পারবে কেন । গোবরা । ঐ বসেছে কয়েৎবেল গাছের ডগায় । উধো । পঞ্চু, উঠে পড়া-না গাছে ।

  • भू । जांद्धि, ए३ ७-ना।

উন্ধো । আরে, তুই ওঠ । পষ্ণু । অত উচ্চে উঠতে পারব না, বাবা, কৃপা করে নেমে এসো । উধো। বাবা, তোমার ঐ শ্ৰীলেজ গলায় বেঁধে অস্তিমে যেন চক্ষু মুদতে পারি। এই আশীৰ্বাদ করো। [প্ৰস্থান ওহে কমবুদ্ধি, হাসাতে পারলে ? না। যে মানুষ সবই বিনা বিচারে বিশ্বাস করতে পারে তাকে হাসানো সোজা নয়। ভয় হচ্ছে, পূপেদিদি পাছে গেছে। বাবার সন্ধান করতে আমাকে পাঠায় । মুখ দেখে আমারও তাই বোধ হচ্ছে। গেছে। বাবার 'পরে ওর টান পড়েছে। আচ্ছা, কাল পরীক্ষা করে দেখব, বিশ্বাস না করিয়েও মজা লাগাতে পারা যায় কি না । কিছুক্ষণ বাদে পুপু এসে বললে, আচ্ছা, দাদামশায়, গেছে। বাবার কাছে তুমি হলে কী চাইতে | আমি বললেম, পুপূদিদির জন্যে এমন একটা কলম চাইতেম। যা নিয়ে লিখতে বসলে অঙ্ক কষতে একটা ভুলও হত না । পুপূদিদি হাততালি দিয়ে বলে উঠল, আঃ, সে কী মজাই হত ! অঙ্কে দিদি এবার একশোর মধ্যে সাড়ে তেরো মার্ক পেয়েছে।