পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SON > २ छोभूशाब्रि >38 রবীন্দ্র-রচনাবলী প্ৰভাতের কণ্ঠ হতে মণিহার করে ঝিলিমিলি বন হতে বনে । পাখিদের অকারণ গান সাধুবাদ দিতে থাকে জীবনলক্ষ্মীরে । সব-কিছু সাথে মিশে মানুষের শ্ৰীতির পরশ অমৃতের অর্থ দেয় তারে, মধুময় করে দেয় ধরণীর ধূলি, সর্বত্র বিছায়ে দেয় চিরমানবের সিংহাসন । নির্জন রোগীর ঘর । খোলা দ্বার দিয়ে বঁকা ছায়া পড়েছে শয্যায় । শীতের মধ্যাহ্নতাপে তন্দ্ৰাতুর বেলা চলেছে মন্থরগতি শৈবালে দুর্বলস্রোত নদীর মতন । মাঝে মাঝে জাগে যেন দূর অতীতের দীর্ঘশ্বাস শস্যহীন মাঠে । মনে পড়ে কতদিন vsei-Pif-Ga per কর্মহীন প্রৌঢ় প্ৰভাতের ছায়াতে আলোতে আমার উদাসী চিন্তা দেয় ভাসাইয়া Vego i স্পর্শ করি শূন্যের কিনারা জেলেডিঙি চলে পাল তুলে, যুথভ্ৰষ্ট শুভ্ৰ মেঘ পড়ে থাকে আকাশের কোণে । আলোতে-বিকিয়া-ওঠা ঘট কাখে পল্লীমেয়েদের ঘোমটায় গুষ্ঠিত আলাপে গুজরিত বাকা পথে, আম্ৰবনচ্ছায়ে কোকিল কোথায় ডাকে ক্ষণে ক্ষণে নিভৃত শাখায়, ছায়ায় কুষ্ঠিত পল্লী-জীবনযাত্রার রহস্যের আবরণ কঁপাইয়া তোলে মোর মনে । পুকুরের ধারে ধারে সর্ষেখেতে পূর্ণ হয়ে যায় ধরণীর প্রতিদান রৌদ্রের দানের, সূর্যের মন্দিরতলে পুষ্পের নৈবেদ্য থাকে পাতা ।