পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S9) বিলোতে ? তুমি যে বলছিলে, আণ্ডামানে যাওয়া ওর এক রকম ঠিক হয়ে আছে। গেল নাকি । দরকার হল না । তা হলে কী হল আমাকে বলছি না কেন। ভয় পাবে কিংবা দুঃখ পাবে, তাই বলি নে । তা হোক, বলতে হবে । আচ্ছা, তবে শোনো । সেদিন ক্লাস-পড়বার খাতিরে আমার পড়ে নেবার কথা ছিল বিদগ্ধমুখমণ্ডন'। এক সময়, হঠাৎ দেখি, সেটা রয়েছে পড়ে, হাতে উঠে এসেছে “পাচুপাকড়াশির পিসশাশুড়ি । পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছিলুম, রাত হবে তখন আড়াইট । স্বপ্ন দেখছি, গরম তেল জ্বলে উঠে আমাদের কিনি বামনির মুখ বেবাক গিয়েছে পুড়ে ; সাত দিন সাত রাত্তির হতো দিয়ে তারকেশ্বরের প্রসাদ পেয়েছে দুকীেটাে লাহিড়ি কোম্পানির মুনলাইট মো ; তাই মািখছে মুখে ঘষে ঘষে। আমি বুঝিয়ে বললুম, ওতে হবে না গো, মোষের বাচ্ছার গালের চামড়া কেটে নিয়ে মুখে জুড়তে হবে, নইলে রঙ মিলবে না। শুনেই আমার কাছে সাওয়া তিন টাকা ধার নিয়ে সে ধর্মতলার বাজারে মোষ কিনতে দৌড়েছে। এমন সময় ঘরে একটা কী শব্দ শোনা গেল, কে যেন হাওয়ার তৈরি চটিজুতো ফুসফুস করে টানতে টানতে ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধড়ফড় করে উঠলেম, উসকে দিলেম লঠনটা । ঘরে একটা-কিছু এসেছে দেখা গেল। কিন্তু সে যে কে, সে যে কী, সে যে কেমন, বোঝা গেল না। বুক ধড়ফড় করছে, তবু জোর গলা করে হেঁকে বললুম, কে হে তুমি । পুলিস ডাকব নাকি । অদ্ভুত হাঁড়িগিলায় এই জীবটা বললে, কী দাদা, চিনতে পািরছ না ? আমি যে তোমার পূপেদিদির 61 } \qशन (श आभाद्ध (नभटम छिल । আমি বললুম, বাজে কথা বলছি, এ কী চেহারা তোমার ! সে বললে, চেহারাখানা হারিয়ে ফেলেছি। হারিয়ে ফেলেছ ? মানে কী হল । মানেটা বলি। পুপেদিদির ঘরে ভোজ, সকাল সকাল নাইতে গেলেম। বেলা তখন সবেমাত্র দেড়টা। তেলেনিপাড়ার ঘাটে বসে ঝামা দিয়ে কষে মুখ মাজছিলুম ; মাজার চোটে আরামে এমনি ঘুম এল যে, ঢুলতে ঢুলতে ঝুপ করে পড়লুম জলে ; তার পরে কী হল জানি নে। উপরে এসেছি কি নীচে কি কোথায় আছি। জানি নে, পষ্ট দেখা গেল। আমি নেই। Gre তোমার গা ছুঁয়ে বলছি।-- আরে আরে, গা টুতে হবে না, বলে যাও । চুলকুনি ছিল গায়ে ; চুলকাতে গিয়ে দেখি, না আছে নখ, না আছে চুলকনি । ভয়ানক দুঃখ হল। হাউহাউ করে কাদতে লাগলুম, কিন্তু ছেলেবেলা থেকে যে হাউহাউট বিনামূল্যে পেয়েছিলুম। সে গেল কোথায় । যত কেঁচাই চেঁচানোও হয় না, কান্নাও শোনা যায় না। ইচ্ছে হল, মাথা ঠুকি বটগাছটাতে ; মাথাটার টিকি খুঁজে পাই নে কোথাও । সব চেয়ে দুঃখ-বারোটা বাজল, খিদে কাই ‘খিদে কই বলে পুকুরধারে পাক খেয়ে বেড়াই, খিদে-বান্দরটার চিহ্ন মেলে না। কী বক্‌ছ তুমি, একটু থামো । ও দাদা, দোহাই তোমার, থামতে বোলো না। থমবার দুঃখ যে কী আ-ধামা মানুষ সে তুমি কী বুঝবে। থামব না, আমি থামাব না, কিছুতেই থামাব না, যতক্ষণ পারি থামাব না। এই বলে ধুপ ধাপ ধুপধ্যাপ করে লাফাতে লাগল, শেষকালে ডিগবাজি খেলা শুরু করলে আমার of 39, TEN AN DER ANC I कलछ लैी एभि ।