পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(케 88S দেয়ালির রাত্রে ওদের ছাদে আধাপোড়া তুবড়িবাজির একটা কাঠি পড়েছিল, কোমরে সেইটেকে ফিতে দিয়ে বেঁধেছে ! আমাকে দেখিয়ে দিলে। আমি বললুম, তলোয়ার বটে। কিন্তু, ঘোড়া চাই তো ? বললে, আস্তাবলে আছে । S% বলে ছাদের কোণ থেকে ওর জ্যাঠামশায়ের বহুকেলে বেহায়া একটা ছেঁড়া ছাতা টেনে নিয়ে এল । দুই পায়ের মধ্যে তাকে চেপে ধরে হ্যাটহ্যাট আওয়াজ করতে করতে ছান্দময় একবার দৌড় করিয়ে আনলে । আমি বললুম, ঘোড়া বাটে ! এর পক্ষীরাজের চেহারা দেখতে চাও ? চাই বৈকি । ছাতাটা ফস করে খুলে দিলে। ছাতার পেটের মধ্যে ঘোড়ার খাবার দানা ছিল, সেগুলো ছড়িয়ে

  • छल छल ।

আমি বললুম, আশ্চর্য! কী আশ্চর্য! এ জন্মে পক্ষীরাজ দেখব, কোনোদিন এমন আশাই করি নি । এইবার আমি উড়ছি, দাদা। চোখ বুজে থাকে, তা হলে বুঝতে পারবে, আমি ঐ মেঘের কাছে গিয়ে ঠেকেছি। একেবারে অন্ধকার ! চোখ বোজাবার দরকার করে না। আমার । স্পষ্টই জানতে পারছি, তুমি খুব উড়ছি, পক্ষীরাজের ডানা মেঘের মধ্যে হারিয়ে গেছে । আচ্ছা, দাদামশায়, আমার ঘোড়াটার একটা নাম দিয়ে দাও তো । আমি বললুম, ছত্রপতি । নামটা পছন্দ হল । রাজপুত্ত্বর ছাতার পিঠ চাপড়িয়ে বললে, ছত্রপতি !