পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(S রবীন্দ্র-রচনাবলী কখনোই নয়। কলমটাকে কামড়ে ধরে ছুটে গিয়ে বসল টেবিলে ।.করজোড়ে গণেশকে বললে, তোমার কলাবধূকে পাঠিয়ে দাও অন্তঃপুরে সিদ্ধিদাতা। লােগাও তোমার শুড়ের আছড়। আমার মগজে, ভূমিকম্প লাগুক আমার মাতৃভাষায়, জোরের তপ্তপঙ্ক উৎসারিত হােক কলমের মুখে, দুঃশ্রাব্যের চােটে বাঙালির ছেলেকে দিক জাগিয়ে। কবি মিনিট পনেরো পরে বেরিয়ে চীৎকার সুরে আবৃত্তি শুরু করলে। মুখ চোখ লাল, চুলগুলো উন্ধোঙ্গুষ্কো, দশা পাবার দশা ||- মার মারমার রবে মারগাট্ৰা, মারহাট্টা, ওরে মারহাট্টা, ছুটে আয় দুদ্দাড়, उाई भाथों, डॉ७ शए, কোথা তোর বাসা আছে হাড়কাট্টা । আন ঘুযো, আনকিল, আন ঢেলা, আনঢ়িল, নাক মুখ থেতো করে দিক ঠাট্টা । আগডুম বাগড়ম দুমদাম ধুমাধুম, ভেঙে চুরে চুরমার হােক খাটটা । ঘুম যাক, মারো কষে মালসাট্রা । বঁশিওলা চুপ রাও, টান মেরে উপাড়াও ধরা হতে ললিতলবঙ্গলতা । বেল জুই চম্পক দূরে দিক ঝম্পক, উপবনে জমা হোক জঙ্গলতা । আমি অস্থির হয়ে দুই হাত তুলে বললুম, থামো থামো, আর নয়। জয়দেবের ভূত এখনো কঁধে বসে ছন্দের সার্কাস করছে, কানের দখল ছাড়ে নি । গয়াধামে ঐ লেখাটার যদি পিণ্ডি দিতে চাও তবে ওর উপরে হানো মুষল, ওটাকে ছিরকুটে নাস্তানাবুদ করে তার উপরে ফুটকি বৃষ্টি করে । কবি হাত জোড় করে বললে, আমি পারব না, তুমি হাত লগাও । আমি বললুম, ঐ-যে মারহাট্টা শব্দটা তোমার মাথায় এসেছে, ঐটতেই তোমার ভবিষ্যতের আশা । ‘চিলন্তিকা’ থেকে কথাটাকে ছিড়ে ফেলেছি, অর্থের শিকড়টা রয়ে গেল মাটির নীচে । শুধু ডাটা ধরে খাড়া রয়েছে ধ্বনির মারমূর্তি। এইবার সমস্তটাকে ছন্নছাড়া করে দিই।- দেখো, কী মূর্তি বেরোয় হৈ রে হৈ মারহাট্টা গালপােট্রা আঁটসাটা । शङ्की वैगा (कै। शैष् গড়গড় গড়গড় ||- V99 ধপাৎ žiel কম্পাউন্ড ফ্র্যাকচার 普