পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 86አ(ሉ ফসল ফলে খেতি-অনুসারে । অসম্ভবকে নিয়ে ঠেলাঠেলি করে সময় নষ্ট করি নে বলে হেড়মাস্টার হন ৰূপ। ঐ হেড়মাস্টারটিকেও অত্যন্ত সত্য বলে গণ্য করলে অত্যন্ত ভুল করা হয়। পুপু বললে, ছাত্রীদের অনেকে মনে মনে খুঁতখুঁত করত। তাদের লক্ষ্য করে একদিন বলেছিলেন, এখানে যে মাস্টারটা আছে তাকে নেই করে দিয়েছি, তোমাদের নিজের মনকেই বেড়ে ওঠবার জায়গা করে দেবার জন্যেই। আর-একদিন তিনি বলেছিলেন, মাস্টারিতে আমি হচ্ছি ক্লাসিক, আর সিধুবাবু রোমান্টিক । বলা বাহুল্য, মাস্টারমশায়ের কথাটা আমরা কিছুই বুঝতে পারি নি । মনে হচ্ছে মাস্টার সমগ্র ক্লাসকেই দিতেন উপরে তুলে, আর সিধু ছাত্রদের একে একে নিজের কাধে চড়িয়ে গর্তগাড়ি পার করত । বুঝেছি ? না, বোঝবার দরকার নেই। তুমি তার কথা বলে যাও, মজা লাগে শুনতে । আমারও লাগে, কেননা লোকটাকে বুঝতে লাগে দেরি। একদিন চীন-দার্শনিকের দোহাই দিয়ে মাস্টার আমাকে বললে, যে রাজ্যে রাজত্বটা নেই সেই রাজ্যই সকল রাজ্যের সেরা। পূপে সগর্বে বললে, আমাদের ক্লাস সেরা ক্লাস ছিল সন্দেহ নেই। আমি বললুম, তার কারণ, প্রমাণ সত্ত্বেও তোমার কম বুদ্ধির লক্ষণ মাস্টার লক্ষ্য করতেন না। পূপে মাথা ঝাকিয়ে বললে, এটাকে কি গাল বলব না ঠাট্টা । আমি বললুম, পাশ দিয়ে যেতে যেতে তোমার চুলটা টেনে দিই, এ ঠাট্টা সেই স্নিগ্ধ জাতের । এতে কাসাস ব্যালাই অর্থাৎ "অদ্য যুদ্ধ ত্বয়া ময়ার ঘোষণা নেই। পূপে বললে, মাস্টারমশায়ের ব্যবস্থা ছিল মজার রকমের । তিনি বলতেন, তোমাদের নিজের খবর নিজেই রাখবে ; তোমাদের খবরদারি করবার কাজ আমার নয়। প্রতিদিনের পড়ার ফল নিজেরাই রাখতুম ; মার্কা দেবার নিয়ম জানা ছিল । उद्भ कळ दी श्न । মার্কা বরঞ্চ কম করেই দিতুম | কখনো কি ঠকাতে না । বাইরের কেউ মার্কা দেবার থাকলে তাকে ঠকাবার লোভ হতে পারত। নিজেকে ঠকানো বোকামি । বিশেষত তিনি তো দেখতেন না । তার পরে ? তার পরে প্রত্যেক তিন মাস অন্তর নিজেরাই হিসেব করে জানতুম উঠছি কি নাবছি। তোমাদের কি সত্যযুগের হাইস্কুল, অত্যন্ত হাই ? ফাকি দেবার লোকই বুঝি ছিল না ? মাস্টারমশায় ছিলেন অবিচলিত । তিনি বলতেন, সংসারে একদল লোক ফাঁকি দেবেই । কিন্তু, নিজের দায় যাদের নিজের হাতে, ওরই মধ্যে তারাই কম ফাকি দেয়। আমাদের শক্তিও ছিল ঐ জাতের । বাইরে থেকে না । একদিন হাজিরি নাম-ডাক উপলক্ষে প্রিয়সখীর পর্সেন্টেজ বঁাচাবার জন্যে মিথ্যে কথা বলে ফেলেছিলুম। তিনি বললেন, অশুচি হয়েছ, প্ৰায়শ্চিত্ত কোরো। তিনি জানাতেও bशउन नां कारेि कि ना । প্ৰায়শ্চিত্ত কি করেছিলে । নিশ্চয়ই করেছিলুম। অর্থাৎ, তোমার পাউডারের কীেটোটা ঐ প্ৰিয়সখীকে দান করেছিলে ? আমি কখখনো পাউডার মাখি নে । বলতে চাও, তোমার ঐ মুখের রঙ তোমার খাস নিজেরই ? আর যাই হােক তোমার কাছ থেকে ধার নিই নি, মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবে । ছি, আমাকে নিয়ে তোমার দৃষ্টিতে যদি ভেদবুদ্ধি দেখা দেয় তা হলে জাতে দোষারোপ ঘটে। আমরা যে সবৰ্ণ-বৰ্ণভেদের জোকী। হাতের কাছে কবি থাকলে বলতেন, তোমার গায়ের রঙ ফুট