পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(s 86ነ ዔ আছে বৈকি। ও না থাকলে পিড়িং। শাকে আমি কোনোদিন মনোযোগই দিতুম না। শব্দটা আমাকে মারত ধাক্কা । সংসারে সংস্কারমুক্তিই তো অধিকারব্যাপ্তি । সেই মহৎ কাজে আছে তোমার কানাই । তা মানতে হবে, ভাই। ওর ইচ্ছার যোগে আমার ইচ্ছার সংকীর্ণতা ঘুচে যায় প্রতিদিন। আমি একলা থাকলে এমনটা ঘটত না । বুঝলুম, কিন্তু কানাইয়ের ইচ্ছার সীমানাটাবাড়িয়েছি বৈকি। পূর্ববঙ্গের লোক, কলাইয়ের ডালের নাম শুনতে পারত না । আজকাল হিঙ দিয়ে কলাইয়ের ডাল ও খাচ্ছে বেশ । এমন সময়ে কানাইয়ের পুনঃপ্রবেশ। বললে, একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আজ দইটা আনি নি। কবরেজমশায় বলেন, রাত্রে দইটা বারণ । দইয়ের দাম চড়ে গেছে বললে দ্বিরুক্তি হয়, এইজন্যে কবরেজমশায়কে পাড়তে হল । সত্ত্বনা দেবার জন্যে বললে, অল্প একটু আদার রস মিশিয়ে পাতলা চা বানিয়ে দেব, শীতের রাত্রে উপকার (6द । আমি জিগেস করলেম, কী বল হে মাস্টার, আদা দিয়ে চা সবাইকে খাওয়াবে না কি । সবাইকার কথা বলব। কী করে । যারা খাবে তারা খাবে। হতে পারে উপকার । যারা খাবে না। তাদের অপকার হবে না । আমি বললুম, মাস্টার, চীন-দার্শনিকের উপদেশমতে তোমার গোরস্থালিতে মনিব নেই বুঝি ? r তা হলে চাকরাই বা আছে কেন । মনিব না থাকলেই চাকর স্বতই থাকে না । - তোমার এখানে চাকরে মনিবে বেমালুম মিশিয়ে গিয়ে একটা যৌগিক পদার্থ খাড়া হয়েছে বুঝি ? মাস্টার হেসে বললে, অক্সিজেন হাইড্রোজেনের দাহ্য মেজাজ ঘুচে গিয়ে দোহে মিলে একেবারে अळणी । আমি বললুম, যদি বিয়ে করতে ভায়া, পাড়া ছেড়ে চীনের দর্শন দৌড় দিত । থেকেও থাকবে না, গিন্নি এমন নির্বিশেষ পদার্থ নয়। মুখের উপর ঘোমটা টেনেও তোমার সংসারে সে হত অতিশয় স্পষ্ট । তার রাজ্যে রাজত্বটা তার কাটাক্ষে খেত দোলা ; সর্বদা ধাক্কা লাগাত, কখনো পিঠে, কখনো বুকে । মাস্টার বললে, তা হলে কর্তা রিটরন টিকিট না কিনেই দৌড় মারত ডেরাগাজিাখায়ে, গিন্নিত্ব অন্তর্ধান করত ইস্টারন বেঙ্গল রেলের রাস্তা বেয়ে বাপের বাড়িতে । BBBB DDD DD DBBB BDBKS DBDS DD DB DS পুপূদিদি বললে, আমাদের মাস্টারমশায়কে নিয়ে যদি গল্পের পালা বাধতে হয় কিরকম করে বাধ । তা হলে দশ লক্ষ বছর বাদ দিই । তার মানে, আজগুবি গল্প বানাতে, অথচ আজকের দিনের বিরুদ্ধ-পক্ষের সাক্ষীর শঙ্কা থাকত না । কোনো সাহিত্যাওয়ালা কখনো সাক্ষীর ভয় করে না। আসল কথা, আমার গল্পটা ফুটে উঠতে যুগান্তরের দরকার করবে। কেন, সেইটে বুঝিয়ে বলি- পৃথিবী-সৃষ্টির গোড়াকার মালমসলা ছিল পাথর লোহা প্রভৃতি মোটামোেটা ভারী ভারী জিনিস। তারই ঢালাই পেটাই চলেছিল অনেককাল । কঠোরের বে-আৰুতা ছিল বহু যুগ ধরে। অবশেষে নরম মাটি পৃথিবীকে শ্যামল আন্তরণে ঢাকা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার যেন লজ্জা রক্ষা করলে। তখন জীবজন্তু আসরে নামল ত্বপাকার হাড়মাংসের বােঝাই নিয়ে ; মোটা মোটা বর্ম পরে তারা দুশো পাঁচশো মোন অসভ্য লেজ টেনে টেনে বেড়াতে লাগল। তারা ছিল দর্শনধারী জীব । কিন্তু সেই মাংসাবাহীর দল সৃষ্টিকর্তার পছন্দসই হল না। আবার চলল বহু