পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vg|୩ୟ୍ଯଗ আরোগ এ বিস্ময় বার বার আজি আসে প্ৰাণে প্ৰাণ লক্ষ্মী ধরিত্রীর গভীর আহবানে মা দাড়ায় এসে যে মা চিরপুরাতন নূতনের বেশে । ২১ জানুয়ারি ১৯৪১ বিকাল ১০ জানুয়ারি ১৯৪১ Sbr. ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায়৷ ফাক ; অনাদরের শস্য গজায়, তুচ্ছ দামের শাক । খুশি হয়ে বাড়িতে যায় যা জোটে তাই পেয়ে । আজকে আমার চাষ চলে না, নাই লাঙলের বালাই ; ফলায় না। সে ফল তবুও সবুজ রাখে মাটি । শ্রাবণ আমার গেছে চলে, নাই বাদলের ধারা ; অঘান সে সোনার ধানের দিন করেছে। সারা । চৈত্র আমার রোদে পোড়া, শুকনো যখন নদী, বুনো ফলের ঝোপের তলায় ছায়া বিছায় যদি, জানব আমার শেষের মাসে ভাগ্য দেয় নি ফাকি, শামল ধরার সঙ্গে আমার বাধীন রইল বাকি । Σ δ দিদিমণিঅফুরান সাত্মনাের খনি । কোনো ক্লান্তি কোনো ক্লেশ৷ মুখে চিহ্ন দেয় নাই লেশ । কোনো ভয় কোনো ঘূণা কোনো কাজে কিছুমাত্র গ্লানি সেবার মাধুর্যে ছায়া নাহি দেয় আনি । এ অখণ্ড প্ৰসন্নতা ঘিরে তারে রয়েছে উজ্জ্বলি, রচিতেছে শান্তির মণ্ডলী ; ক্ষিপ্ত হস্তক্ষেপে চারিদিকে স্বন্তি দেয় ব্যেপে ; আশ্বাসের বাণী সুমধুর অবসাদ করি দেয় দূর । 8ዒ