পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO8 রবীন্দ্র-রচনাবলী জ্যািলজেলে। সামান্য কয়েকটা ব্যতিক্রম আছে, “জ্বলজ্বলে টুকটুকে ; সংখ্যা বেশি নয়। এবার দেখা যােক উআর বিকারে 'ও' প্রত্যয় ; ঘেয়ো বেতো ঘোরো নুলো টেকো কেঁকো উলে FRIGT corat, GFCO (RI), GMTCRT CINC SCOT, CRCN (CPRF) I Svens fa DuD S BD BB D DDBSSLBDB DB BDEL BB DDD DDS DB BBDBD BDB BDDSTBDS তাকে সম্মান করা হয় না। জীবমাত্রই খাদ্যপদাৰ্থ ব্যৱহার করে, সেটা দোষের নয়; কিন্তু কোনো-একটা খাদ্যের সম্পর্কে কাউকে যদি বলা হয় “খেগে তা হলে বুঝতে হবে সেই খাদ্য সম্বন্ধে অবজ্ঞার কারণ আছে। যথাস্থানে যথােপরিমাণে জল উপাদেয়, কিন্তু যাকে বলি “জোলো, তার মূল্য বা স্বাদের সম্বন্ধে অপবাদ দেওয়া হয় । মন্দত্ব বোঝাতে সংস্কৃতে দুঃ বলে একটা উপসর্গ আছে, কুণ্ড যোগ করা যায়। কিন্তু বাংলায় এই প্রত্যয়গুলোতে যে কুৎসাবিশিষ্ট অবমাননা আছে। অন্য কোনো ভাষায় বোধ হয় তা পাওয়া যায় না। এবার স্ত্রীলিঙ্গ প্রত্যয়ের আলোচনা করে প্রত্যয়ের পালা শেষ করা যাক। খাপছাড়াভাবে সংস্কৃতের অনুসরণে নী ও ঈ প্রত্যয়ের যোগে শ্ৰীলিঙ্গ বোঝাবার রীতি বাংলায় আছে, কিন্তু তাকে নিয়ম বলা চলে না। সংস্কৃত ব্যাকরণকেও মেনে চলবার অভ্যোস তার নেই ; সংস্কৃতে ব্যান্ত্রের স্ত্রী ব্যায়ী, বাংলায় সে ‘বাঘিনী” । সংস্কৃতে "সিংহীই শ্ৰীজাতীয় সিংহ, বাংলায় সে “সিংহিনী । আকারযুক্ত শ্ৰীবাচক শব্দ সংস্কৃত থেকে বাংলা ধার নিয়েছে, যেমন ‘লতা ; কিন্তু স্ত্রীলিঙ্গে আ প্রত্যয় বাংলায় নেই। সংস্কৃতে আছে জানি, এত বেশি জানি যে, আকারান্ত শব্দ দেখবামাত্র তাকে নারীশ্ৰেণীয় বলে সন্দেহ করি । বাংলাদেশের মেয়েদের সবিতা’ নাম দেখে প্রায়ই আশঙ্কা হয় “পিতাকে পাছে কেউ এই নিয়মে মাতা বলে গণ্য করে । মেয়েদের নামে “চন্দ্ৰমা’ শব্দেরও ব্যবহার দেখেছি, আর মনে পড়ছে কোনো দুৰ্যোগে ভগবান চন্দ্ৰমা শ্ৰীছদ্মবেশে বাঙালির ঘরেও দেখা দিয়েছেন, বাঙালির কাব্যেও অবতীর্ণ হয়েছেন। এ দিকে “নীলিমা” “তনিমা' প্ৰভৃতি পুংলিঙ্গ শব্দ আকারের টানে মেয়েদের নামের সঙ্গে এক মালায় গাথা পড়ে। ‘নিভা’ নামক একটা ছিন্নমুণ্ড শব্দ ‘শরচ্চন্দ্রনিভাননা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যুক্ত হয়েছে বাঙালি মেয়েদের নামমালায় আকারের টিকিট দেখিয়ে । স্ত্রীলিঙ্গের কোনো একটি বা একাধিক প্ৰত্যয় যদি নির্বিশেষে বা বাধা নিয়মে ভাষায় খাটত তাহলে একটা শৃঙ্খলা থাকত, কিন্তু সে সুযোগ ঘটে নি। বাংলায় “উট হয়তো ‘উটী, কিন্তু ‘মোষ হয় না। ‘মোষী’, এমনকি, ‘মোকিনীও না- কী হয় বলতে পারি নে, বোধ করি ‘মাদী মোষ । ‘হাতি' সম্বন্ধেওঁ ঐ এক কথা, নাতনী বলি কিন্তু ‘হাতিনী বলি নে। উট-হাতির চেয়ে কুকুর-বিড়াল পরিচিত জীব, “কুকুরী’ ‘বিড়ালী বললেই চলত, কিংবা 'কুকুরনী’ ‘বিড়ালিনী। বলা হয় না। মানুষ সম্বন্ধেও কেমন একটা ইতস্তত আছে- ‘খোট্টানি “উড়েনি বলে থাকি, কিন্তু ‘পাঞ্জাবিনী" "শিখিনী “মগিনী বলি নে ; "মাদ্রাজিনীও তদুপ ; ‘বাঙালিনী বলি নে, কাঙালিনী' বলে থাকি । আত্মীয়তা সম্বন্ধের নামগুলিতে স্ত্রী প্রত্যয়ের ছাপ আছে ; দিদি মাসি পিসি শ্যালী শাশুড়ি ভাইঝি বোনবি। ‘ননদ’ শব্দে ইনী যোগ না করলেও তার প্রভাব সম্পূর্ণ থেকে যায়। জা শ্যালাজ প্রভৃতি শব্দে দীর্ঘ ঈকারের সমাগম নেই। জাতঘটিত ব্যাবসাঘটিত নামে নীইনী যথেষ্ট চলে ; বামনী কায়েতনী । অন্য জাত সম্বন্ধে সন্দেহ আছে। ‘বদিনী কখনো শুনি নি। বাগদিনী চলে, “ড়োমনী হাড়িানী ও শুনেছি, “সঁওতালনী' বললে খটকা লাগে না । পুরুতনী ধোবানী নাপতিনী কামারনী কুমেরনীৰ্তাতিনী ; সর্বদাই ব্যবহার হয়। অথচ শেলাই ব্যাবসা ধরলেও মেয়েরা ‘দাৰ্জিনী উপাধি পাবে কি না সন্দেহ । যা হোক মোটের উপর বাংলায় - নীলিঙ্গে নী। ইনী প্ৰত্যয়টারই চল বেশি। একটা বিষয়ে বাংলাকে বাহাদুরি দিতে হবে। য়ুরোপীয় অনেক ভাষায়, তা ছাড়া হিন্দি হিন্দুস্থানি গুজরাটি মারাঠিতে, কাল্পনিক খেয়ালে বা স্বরবর্ণের বিশেষত্ব নিয়ে লিঙ্গভেদপ্ৰথা চলেছে। ভাষার এই