পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YAO sijai ফ্লেটুসের কোনো-একজন সমালোচক লিখিতেছেনএমন সময়ে রণদূত আর-একবার আসিয়া দেখা দিল ; এবার দুর্গাম হৃদয়বেগের বিদ্যদবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কোনো সামাজিক প্ৰলয়যুগের বজবনি শুনা গেল না। যে সর্বজয়ী মানবাত্মা আপুনাকে আপনি উপলব্ধি করিতে পারিয়াছে, এবং মানুষের জগতে যাহার গোপন অঙ্গুলি সমস্ত বড়ো বড়ো ভাঙাগড়ার রহস্যকে গিয়া স্পর্শ করিতেছে, সেই আত্মতৃপ্ত মানবাত্মার বিরাট বিপুল শান্তি আকাশকে অধিকার করিল। নিজের মধ্যে মানবন্ধদায়ের পূর্ণতর বন্ধনমোচন প্রকাশ করিয়া প্লেটুস, আর-একবার গভীরতর ও সূক্ষ্মতর শক্তির সহিত বিদ্রোহের বাণীকে জাগ্ৰত করিলেন। এবার বাহিরের কোলাহল নহে, এবার কবি মানবাত্মার অন্তরের কথা বললেন- তাহাঁই আয়ার্লন্ডের কথা এবং সমন্ত মানুষের কথা। তিনি গভীরভাবে চিন্তা করিলেন এবং পঞ্চাশ বছর পূর্বে যে কবিত্রীতি প্রচলিত ছিল তাহা পরিহার করিলেন। কিন্তু, তিনি রচনার যে প্রণালীকে অবশেষে সম্পূর্ণতা দান করিলেন তাহা পুরাতন কবিদিগের রচনায়ীতিরই উৎকর্ষসাধন। তঁহার কবিত্ব প্রকৃতির সূক্ষ্মতিসূক্ষ্ম সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি প্রয়োগ করিয়াছে এবং ধ্বনিমাধুর্যের অন্তরতর সংগীতটিকে আয়ত্ত করিতে পারিয়াছে। যে-সকল চিন্তাসামগ্ৰীকে তিনি তাহার প্রথম কালের অতুলনীয় গীতিকাব্যে গাথিয়া তুলিয়াছেন তাহা তাহার পূর্বতন ক্লয়িদ-পিতামহদের নিকট হইতে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার ; তাহা এই প্ৰকাশমান বিশ্বপ্রকৃতির রহস্যের মধ্যে প্রবেশ করিয়া প্রকৃতি মানুষ ও দেবতার পরম ঐক্যটিকে উদ্ধার করিয়াছে। 75r ffRNSIt was with the publication of The Wanderings of Oisin- in 1889, if I remember aright- that Yeats sprang into the front rank of contemporary poets, and threatened to add to the august company of the immortals. In the qualities by which he succeeded- an exquisitely delicate music, intensity of imaginative conviction, intimacy with natural and (dare I say?) supernatural manifestations- he was typically Celtic. এই imaginative conviction কথাটা য়েটস সম্বন্ধে অত্যন্ত সত্য । কল্পনা তাহার পক্ষে কেবল লীলার সামগ্ৰী নহে, কল্পনার আলোকে তিনি যাহা দেখিয়াছেন তাহার সত্যতাকে তিনি জীবনে গ্ৰহণ করিতে পারিয়াছেন। অর্থাৎ, তাহার হাতে কল্পনা-জিনিসটি কেবলমাত্র কবিত্বব্যবসায়ের একটা হাতিয়ার নহে, তাহা তাহার জীবনের সামগ্ৰী ; ইহার দ্বারাই বিশ্বজগৎ হইতে তিনি তাহার আত্মার খাদ্য পানীয় আহরণ করিতেছেন। তঁহার সঙ্গে নিভৃতে যতবার আমার আলাপ হইয়াছে ততবার এই কথাই আমি অনুভব করিয়াছি। তিনি যে কবি তাহা তাহার কবিতা পড়িয়া জানিবার সুযোগ এখনো আমার সম্পূর্ণরূপে ঘটে নাই, কিন্তু তিনি যে কল্পনালোকিত হৃদয়ের দ্বারা তাহার চতুর্দিককে প্ৰাণবানরূপে স্পর্শ করিতেছেন তাহা তঁহার কাছে আসিয়াই আমি অনুভব করিতে পারিয়াছি। ৩৭ আলফ্রেড গ্রেস সাউথ কেলিংটন। লন্ডন Sai SOS