পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র রচনাবলী ১৫৫ পৃষ্ঠার "এরে ক্ষমা কোরো সখী” গানটি উক্ত সংস্করণের শেষে স্বরলিপি-অংশে প্রথম সংযোজিত হয় ; পাদটীকায় বলা হইয়াছিল “কয়েক রাত্রি অভিনয়ের পরে এই গানটি নাটকে নূতন যোগ করা হইয়াছে।” গ্রন্থারম্ভে বিজ্ঞপ্তিতে কবি বলিয়াছেন “এই গ্রন্থের অধিকাংশই গানে রচিত”। সেইসঙ্গে গুণমুগ্ধ যে আসেন্স লীকে কােৱাৰ নিনেির্দশিত অলঙ্কলিৰ কন্যাশক্তি ১৪১ পৃষ্ঠায় সখীর উক্তি “সখী, কী দেখা দেখিলে ভূমি” প্রথম চিনিল। আপনারে।” ১৫১ পৃষ্ঠায় চিত্রাঙ্গদার উক্তি “হায় হায়- বসন্তেরে করিল ব্যাকুল।” ১৫২ পৃষ্ঠায় “একজন সখীর উক্তি “ব্ৰহ্মচর্য - দাও তারে অবলার বল।” ১৫৪-৫৫ পৃষ্ঠায় নূতনরাপ প্রাপ্ত চিত্রাঙ্গদার উক্তি "এ কী দেখি • ধরণীর চির-অবহেলা ।” এবং “মীনকেতু" - উন্মাদ করেছে মোরে।” ১৫৬ পৃষ্ঠায় ‘অর্জন-এর উক্তি “হে সুন্দরী- অজানার পথে।” ১৫৬ পৃষ্ঠায় চিত্রাঙ্গদার উত্তর "তবে তাই হােক- নিমিষের সৌহাগিনী।” ১৫৭ পৃষ্ঠায় ‘অৰ্জ্জুন-এর উক্তি "আজ মোরে"- শেষ পরিণাম।।” যে আমি নই।” যাও যাও ফিরে যাও।” ‘অৰ্জ্জুন-এর উক্তি “এ কী তৃষ্ণ- সর্বাঙ্গ টুটিয়া।” ১৬২ পৃষ্ঠায় সখীর উক্তি “রমণীর মন ভোলাবার-- বীরোত্তম।” ১৬৩ পৃষ্ঠায় সখীর উক্তি “হে কোন্তেয়- সেবিকার পানে।” ১৬৬ পৃষ্ঠায় বৈদিক মন্ত্রগুলিও, বলা বাহুল্য, অভিনয়কালে আবৃত্তি করা হইয়া থাকে। প্রতিমা দেবী-কর্তৃক লিখিত ও রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক অনুমোদিত “চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য” প্রবন্ধের উদখৃত অংশ এই প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য : ❖¢ፃ ግፅI።

  • बिाष्ट

VV “ সে আমি চিত্ৰাজদায় আর-একটি বিশেষ জিনিস হল ছোটো ছোটো কবিতাগুলি, তারা মাঝে মাঝে সূত্র ধরিয়ে দিয়েছে মূল ঘটনার, গান ও নাচ বন্ধ করে দর্শকের চিত্তকে বিশ্রাম দেওয়ার সঙ্গে নাটকের ঘটনাসূত্রের যোগ রাখাই হল তাদের কাজ, এই কবিতাগুলির ছন্দ দেহের নৃত্যলীলাকে বঁচিয়ে রাখে। পরবতী নৃত্য যে আবার সেই ভীর মধ্যে সাড়া দিয়ে উঠবে এ যেন তারই ভূমিকা । -ек ba »ese," aes ১৩৪৩ সালের প্রবাসীতে পীেঘ সংখ্যার (পৃ. ৪২৬-৩৪) “নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা” প্রবন্ধে ঘূর্জিটিপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায় (কথা ও সুর গ্রন্থের শেষ প্ৰবন্ধ) এবং চৈত্র সংখ্যার (পৃ ৭৮৯-১৩) আলোচনা করিয়াছিলেন। শেষোক্ত প্রবন্ধের কয়েকটি প্রাসঙ্গিক ছত্র নিয়ে উদ্যুত হইল : চিত্রাঙ্গদার সম্বন্ধে আলোচনার সময় মনে রাখতে হবে যে নৃত্যনাটো কলাকীেশাল কথায় ভাষা নিয়ে কারবার করে না, তার ভাষা হল সুর ও তাল ; ভাব খেলে তার দেহরেখায়। এই রেখার খেলা মাত্রেই ছবির বিষয় এসে পড়ে, তাই তার জন্যে পটভূমির দরকার হয় রঙ ও আলো। এই রত আলো ছাড়া নৃত্যকলার পরিপ্রেক্ষিত ফুটিয়ে তোলা শক্ত, বিশেষতঃ যখন সে নাটকীয় রাজ্যে গিয়ে পৌছয়। নাচতে দেহের রেখা খুব নিখুঁত হওয়া চাই, কোথাও তার কোনো অবান্তর ভঙ্গী হলে তালের সঙ্গে ভঙ্গীর সংগতি রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। রেখা ও তালের মিলন ছাড়া নৃত্যকলা পূর্ণতা লাভ করতে পারেনা। কবিতা ও গদ্যে যে তফাৎ, নৃত্যনাট্যের সঙ্গে বিশুদ্ধ নাটকের সেই রকমই পার্থক্য। --R. IðI sese," aðK