পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে । সেই আলো সেই অন্ধকারে কর্মসমুদ্রের মাঝে নৈকর্মীপের পারে বালকের মনখানা মধ্যাহ্নে ঘুঘুর ডাক যেন । এ সংসারে কী হতেছে কেন ভাগ্যের চক্রান্তে কোথা কী যে, প্রশ্নহীন বিশ্বে তার জিজ্ঞাসা করে নিকভু নিজে { এ নিখিলে যে জগৎ ছেলেমানুবির Q୯୩୩ ଅଧ୍ଧ୍ୱ ଜ୍ଞାPo। ୧୭ଶ ୩୪ । সেথা তার দেবলোক, স্বাকল্পিত স্বর্গের কিনারা, বুদ্ধির ভৎসনা নাই,নাই সেখাঁ প্রশ্নের পাহারা, যুক্তির সংকেত নাই পথে, ইচ্ছা সঞ্চারণ করে বল্পমুক্ত রথে । RO মনে ভাবিতেছি, যেন অসংখ্য ভাষার শব্দ রাজি ছাড়া পেল আজি, দীর্ঘকাল ব্যাকরণদুর্গেবাদী রহি অকস্মাৎ হয়েছে বিদ্রোহী, অবিশ্রাম সারি সারি কুচকাওয়াজের পদক্ষেপে উঠেছে অধীর হয়ে খেপে । লঙ্ঘিয়াছে বাক্যের শাসন, নিয়েছে। অবুদ্ধিলোকে আবদ্ধ ভাষণ, ছিন্ন করি অর্থের শৃঙ্খলপাশ সাধুসাহিত্যের প্রতি ব্যঙ্গহাস্যে হানে পরিহাস ! সব ছেড়ে অধিকার করে শুধু শ্ৰীতিবিচিত্র তাদের ভঙ্গি, বিচিত্র আকৃতি । বলে তারা, আমরা যে এই ধরণীর নিশ্বাসিত পবনের আদিম ধ্বনির জম্বেছি সন্তান, যখনি মানবকণ্ঠে মনোহীন প্ৰাণ নাভীর দোলায় সদ্য জেগেছে নাচিয়া উঠেছিৰাচিয়া । শিশুকণ্ঠে আদিকাব্যে এনেছি উচ্ছলি অতিত্বের প্রথম কাকলি । গিরিশিৱে যে পাগল-বোরা শ্রাবণের দূত, তারি। আমীয় আমরা আসিয়াছি লোকালয়ে সৃষ্টির ধ্বনির মন্ত্ৰ লয়ে।