পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট জীবনে নানা সুখদুঃখের এলোমেলো ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ কখনো কাছে এসেছে সুসম্পূৰ্ণ সময়ের ছোটাে একটু টুকরো । গিরিপথের নানা পাথর-নুড়ির মধ্যে যেন আচমকা কুড়িয়ে-পাওয়া একটি হীরে । কতবার ভেবেছি গেথে রাখব ভারতীর গলার হারে ; সাহস করি নি, ভয় হয়েছে কুলোবে না ভাষায় । ভয় হয়েছে প্রকাশের ব্যগ্রতায় । পাছে সহজের সীমা যায় ছাড়িয়ে । ছিলেম দাৰ্জিলিঙে সদর রাস্তার নীচে এক প্রচ্ছন্ন বাসায় । সঙ্গীদের উৎসাহ হল রাত কাটাবে সিঞ্চল পাহাড়ে । ভরসা ছিল না। সন্ন্যাসী গিরিরাজের নির্জন সভার ”পরেকুলির পিঠের উপরে চাপিয়েছি নিজেদের সম্বল থেকেই অবকাশ-সম্ভোগের উপকরণ । সঙ্গে ছিল একখানা এসরাজ, ছিল ভোজ্যের পেটিকা, ছিল হো হাে করবার অদম্য উৎসাহী যুবক, টাটুর উপর চেপেছিল আনাড়ি নবগোপাল, তাকে বিপদে ফেলবার জন্যে ছিল ছেলেদের কৌতুক । Yog šTrojšo osa বেঁকে বেঁকে ধবনিত হল অট্টহাস্য । শৈলশৃঙ্গবাসের শূন্যতা পূরণ করব কাজনে মিলে: সেই রস জোগান দেবার অধিকারী আমরাই এমন ছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস । অবশেষে চড়াই-পথ যখন শেষ হল তখন অপরাহুের হয়েছে অবসান ।