পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট তোমার জ্যোতির স্তিমিত কেন্দ্ৰে মানুষ আপনার মহৎস্বরূপকে দেখেছে। কালে কালে, কখনো নীল-মহানদীর তীরে, কখনো পারস্যসাগরের কুলে, কখনো হিমাদ্রিগিরিতটে বলেছে “ দেখেছি। অন্ধকারের পার হতে আদিত্যবৰ্ণ মহান পুরুষের আবির্ভাব” । ৭ নবেম্বর ১৯৩৫ cጫናበG<ff ফাল্পনের রঙিন আবেশ নীরস বৈশাখের রিক্ততায়, তেমনি করেই সরিয়ে ফেলেছ হে প্রমদা, তোমার মদির মায়া অনাদরে অবহেলায় । একদিন আপন হাতে আমার চোখে বিছিয়েছিলে বিহবলতা, পাত্ৰ উজাড় ক’রে জাদুরসধারা আজ ঢেলে দিয়েছ ধুলায় । আমার দুই চক্ষুর বিস্ময়কে ডাক দিতে ভুলে গেলে ; আজ তোমার সাজের মধ্যে কোনো আকৃতি নেই ; নেই সেই নীরব ঝংকার যা আমার নামকে দিয়েছিল রাগিণী । শুনেছি। একদিন চাদের দেহ ঘিরে ছিল হাওয়ার আবর্ত । তখন ছিল তার রঙের শিল্প, ছিল সুরের মন্ত্র, ছিল সে নিত্য নবীন । দিনে দিনে উদাসী কেন ঘুচিয়ে দিল আপন লীলার প্রবাহ । কেন ক্লান্ত হল সে আপনার মাধুর্যকে নিয়ে । আজ শুধু তার মধ্যে আছে আলোছায়ার মৈত্রীবিহীন দ্বন্দ্ব ফোটে না ফুল, বহে না কলামুখরা নিঝরিণী । Σ δ δ