পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓ ܓ ܐ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তীরের গাছ থেকে সেখানে বসন্তশেষের ফুল পড়ে ঝরে, कव्नन डटरल एन्श उठझesीक्षा বুদবুদাফেনিল গগরধ্বনিতে । নববর্ষার গভীর বিরাট শ্যাম।মহিমা তার বক্ষতলে পায় লীলাচঞ্চল দোসরটিকে । কালবৈশাখী হঠাৎ মারে পাখার ঝাপট, অধৈর্যের আঘাত হানে তটবেষ্টনের স্থাবরতায় ; হঠাৎ বুঝি তার মনে হয়— গিরিশিখরের পাগলা-বোরা পোষ মেনেছে গিরিপদতলের বোবা জলরাশিতেবন্দী ভুলেছে আপনার উদবোলকে, উদামকে— পাথর ডিঙিয়ে আপন সীমানা চুৰ্ণ করতে করতে নিরুদ্দেশের পথে অজানার সংঘাতে বাকে বাকে গৰ্জিত করল না। সে আপনি অবরুদ্ধ বাণী, আবর্তে আবর্তে উৎক্ষিপ্ত করল না। অন্তৰ্গঢ়কে । মৃত্যুর গ্রস্থি থেকে ছিনিয়ে ছিনিয়ে যে উদ্ধার করে জীবনকে সেই রুদ্র মানবের আত্মপরিচয়ে বঞ্চিত স্বাক্ষীণ পাণ্ডুর আমি অপরিস্ফুটিতার অসম্মান নিয়ে যাচ্ছি চলে । দুৰ্গম ভীষণের ওপারে অন্ধকারে অপেক্ষা করছে জ্ঞানের বরদাত্রী ; মানবের অভ্ৰভেদী বন্ধনশালা তুলেছে কালো পাথরে গাথা উদ্ধত চুড়া সূর্যোদয়ের পথে ; বহু শতাব্দীর ব্যথিত ক্ষত মুষ্টি রক্তলাদ্রিকৃত বিদ্রোহের ছাপ লেপে দিয়ে যায়। তার দ্বার ফলকে ; দৈত্যের লৌহদুগে প্ৰচ্ছন্ন ; আকাশে দেবসেনাপতির কাঠ শোনা যায় ‘এসো মৃত্যুবিজয়ী” । তবু জাগল না রণদুর্মদ এই নিরাপদ নিশ্চেষ্ট জীবনে ;