পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> @ と2 ܫ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ওকে জেনেছি যেন ঋতুরাজের বাহির-দেউড়ির দ্বারী, উদাসীন, উদ্ধত । সেদিন কে জেনেছিল ওই রূঢ় বৃহতের অন্তরে সুন্দরের নম্রতা, কে জেনেছিল। বসন্তের সভায় ওর কৌলীন্য । ফুলের পরিচয়ে আজ ওকে দেখছি । যেন গন্ধৰ্ব চিত্ররথ, যে ছিল অর্জনবিজয়ী মহারথী গানের সাধন করছে সে আপন মনে একা নন্দনবনের ছায়ার আড়ালে গুন শুন সুরে । সেদিনকার কিশোর কবির চোখে ওই প্রৌঢ় গাছের গোপন যৌবনমন্দিরতা যদি ধরা পড়ত উপযুক্ত লগ্নে, মনে আসছে, তবে মৌমাছির পাখা-উতল-করা কোন—এক পরম দিনের তরুণ প্ৰভাতে একটি ফুলের গুচ্ছ করতেম চুরি, পরিয়ে দিতেম। কেঁপে-ওঠা আঙুল দিয়ে কোন একজনের আনন্দে-রাঙা কৰ্ণমূলে । যদি সে শুধাত, কী নাম, হয়তো বলতেমওই যে রৌদ্রের এক টুকরো পড়েছে তোমার চিবুকে ওর যদি কোনো নাম তোমার মুখে আসে একেও দেব সেই নামটি । ন্তিনিকে R B ఈ సిరి অকাল ঘুম এসেছি অনাহুত । কিছু কৌতুক করব ছিল মনে— আচমকা বাধা দেব অসময়ে কোমরো-আঁচল-জড়ানো গৃহিণীপনায় । দুয়ারে পা বাড়াতেই চোখে পড়ল ওর অকাল ঘুমের রূপাখানি । দূর পাড়ায় বিয়ে-বাড়িতে বাজছে সানাই সারঙ সুরে । প্ৰথম প্রহর পেরিয়ে গেছে। জ্যৈষ্ঠরৌদ্রে ঝামরে-পড়া সকাল বেলায় ।