পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ জুন ১৯৩৬ শ্যামলী তার পরে মাঝখানে অনেকখানি ফাক । বিলেত থেকে ফিরে এসে দেখি কনির হয়েছে বিয়ে । মাথায় উঠেছে লালপোড়ে আঁচল, কপালে কুকুম, শান্তগভীর চোখের দৃষ্টি, স্বর হয়েছে গভীর । ওষুধ বানিয়ে থাকি । আমার দিনের পর দিন চলেছে কর্মচক্রের স্নেহহীন কর্কশধ্বনিতে । একদিন কনির কাছ থেকে চিঠিতে এল দেখা করতে অনুনয় । গ্রামের বাড়িতে ভাগনির বিয়ে, স্বামী পায় নি। ছুটি, ও একা এসেছে মায়ের কাছে । বাবা গেছেন হুশিয়ারপুরে বিবাহে মতবিরোধের আক্ৰোশে । এসেছি। প্রতিবেশিনীর সেই বাড়িতে । পুকুর থেকে আসছে সেই পুরোনো কালের মিষ্টি গন্ধ শ্যাওলার । আর সিসুগাছের ডালে দুলছে সেই দোলনাটা আজও । কনি প্ৰণাম করে বললে, “আমলদাদা, ভাইফোটার দিনে পাব তোমায় নেই। সে আশা । আজ আদিনে মেটাব আমার সাধ, তাই ডেকেছি।” বাগানে আসন পড়েছে অশব্থতলার চাতালে । অনুষ্ঠান হল সারা ; সে বুড়ি লিচুতে ভরা । বললে, “সেই লিচু ।” আমি বললেম, “ঠিক সে লিচু নয় বুঝি ।” कनि दक्लटन, ‘की छानि ।।” বলেই দ্রুত গেল চলে ।