ਕੇ অমৃত “ভারতের একজন নারী বলেছিলেন একদিন উপকরণ চান না। তিনি, তিনি চান অমৃত এই তো নারীর পণ, তুমি কী বল ।” অমিয়া হাসল একটু বিরস হাসি বললে, “এ কি উপদেশ ।” আমি বললেম তার হাত চেপে ধরে, “ভালোবাসাই সেই অমৃত, উপকরণ তার কাছে তুচ্ছ, বুঝবে একদিন ।” বিরক্ত হল অমিয়া ; ... -- বললে, “তুমি কেন নিয়ে গেলে না। আমাকে মিথ্যে থেকে । জোর নেই কেন তোমার ।” আমি বললেম, “বাধে আত্মগৌরবে । যতদিন না ধনে হব সমান আসিব না তোমার কাছে ।” অমিয়া মাথা-বঁকানি দিয়ে উঠে দাড়ালো, চলল ঘরের বাইরে । আমি বললেম, “শুনে রাখো, তোমার ভালোবাসার বদলে দেব না তোমাকে অকিঞ্চনের অসম্মান । এই আমার পুরুষের পণ ।” মাথায় চড়ে ওঠে সোনার মদের নেশা । সঞ্চায়ের ধাক্কা যতই বাড়ে । ততই আমাকে চলে ঠেলে । থামতে পারি নে, থামাতে পারি। নে তার তাড়না । বুক ফুলিয়ে এগিয়ে চলে আত্মশ্লাঘা । শেষে ডাক্তার বললে, বিশ্রাম চাই নিতান্তই, দেহের কল অচল হয়ে এল বলে । গেলেম দূরদেশে নির্জনে সেখানে সমুদ্রের একটা খাড়ি এসে মিলেছে। পাহাড়তলির অরণ্যে ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।