পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষবাক্ষা S&N) কমল । আঃ, কী যে বকিস তার ঠিক নেই। 4. ইন্দু। ঐ খোলা খড়খাঁড়ির ফাক দিয়ে কবিকুঞ্জবনের দীর্ঘনিশ্বাস উচ্ছসিত । ঐ খড়খাঁড়ির পিছনে একটা ধড়ফড়ানি দেখতে পােচ্ছ ? কমল । কিসের ধড়ফড়ানি ? ইন্দু। সেই খবরটাই তো চোখের আড়ালে রয়ে গেল । 5R হয় রে, ওরে যায় না কি জানা ! নয়ন ওরে খুঁজে বেড়ায়, পায় না। ঠিকানা । অলেখ পথেই যাওয়া-আসা, শুনি চরণকািবনির ভাষা, গন্ধে শুধু হাওয়ায় হওয়ায় রইল নিশানা । বসে আছি। পথের ধারে । প্ৰাণে। এল সন্ধ্যাবেলা আলোয় ছায়ায় রঙিন খেলা, বিছায় বিছানা । ক্ষান্তমণি ! ওলো ইন্দু, দেখা দেখা খড়খড়ে আরো ফাক হয়ে উঠল যে : ইন্দু। এবার তুমি যদি গান ধর তা হলে দেয়াল সুদ্ধ ফাক হয়ে যাবে ! ক্ষান্তমণি । আর ঠাট্টা করতে হবে না, যাঃ । তোর কথা শুনে ভেবেছিলুম, একা কমলই বুকি শব্দভেদী বাণের তীরন্দাজ । বিবাতা কি তোদের সকলেরই গলায় বাণ বোঝাই করেছেন ! হাতের কাছে এত বিপদ জমা আছে, এ তো জানতুম না । ইন্দু । সৃষ্টিকর্তা সংকল্প করেছেন। পুরুষমেধ যজ্ঞ করতে— তারই সহায়তায় নারীদের ডাক পড়েছে। সবাই ছুটে আসছে, কেউ কণ্ঠ নিয়ে, কেউ কটাক্ষ নিয়ে ; কারও বা কুটিল হাস্য, কারও বা কুঞ্চিত কেশীকলাপ ; কারও বা সর্বের তেল ও লঙ্কার বাটনাযোগে বুক-জ্বালানি রাল্লা । ক্ষান্তমণি । কিন্তু তোদের সব বাণই কি ঐ একটা খড়খড়ে দিয়ে গলবে নাকি ? ইন্দু। কবির হৃদয়টা দরাজ, বড়ো বোনের পাকা হাত আর ছোটো বোনের কঁচা হাত কারও লক্ষ্যই ফািসকায় না । ক্ষান্তমণি । তা যেন হল, তার পরে অংশ নিয়ে তোদের মামলা বাঘবে না ? ইন্দু। তাই তো বলে রেখেছি, আমি দাবি করব না । কমল । এত নিজস্বাৰ্থ হবার দরকার কী ? ইন্দু। কমলদিদি, জীবনের অক্ষশাস্ত্ৰে পুরুষরা আছে শুণের কোঠায়, মেয়েরা ভাগের কোঠায় । ওদের বেলায় দুইয়ের দ্বারা হয়। দ্বিগুণ, আমাদের বেলায় দুইয়ের দ্বারা হয় দুভাগ । তাই তোমাকে রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি- নইলে দুই বোনে মিলে ঐ খাড়খড়েটার কবজা। এতদিনে করুঝত্রে করে দিতুম । কমল । কেন, রান্তা কি আমি ছাড়তে জানি নে ? ইন্দু। আমি ওঁর কবিতাবিছানো রাস্তায় এক পা চলতে পারব না । মানেই বুঝতে পারি নে- ইচাট CNG AKK |