পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ শশিভূষণ চিরকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে নিভৃত নিৰ্জনতার মধ্যে আপনাকে রক্ষা করিবার চেষ্টা ਸ਼ ಟ್ರ್ನ್ತಞ್ಞು ಞ, “ಗೌ4 5 মকদ্দমাটা গোপনে মিটমাট করিয়া ফেলিলে ভালো হয় না কি ৷” শশীবাবু টেবিলের উপরিস্থিত একখানি, আইন গ্রন্থের মলাটের উপর তাহার কুঞ্চিতত্ত্ব ক্ষীণ দৃষ্টি অত্যন্ত নিবিষ্টভাবে রক্ষা করিয়া কহিলেন, “আমার মক্কেলকে আমি এরূপ পরামর্শ দিতে পারি না । তিনি প্ৰকাশ্যভাবে অপমানিত হইয়াছেন, গোপনে ইহার মিটমাট হইবে কী করিয়া ।” সাহেব দুই-চারি কথা কহিয়া বুঝিলেন, এই স্বল্পভাষী স্বল্পদূষ্টি লোকটিকে সহজে বিচলিত করা সম্ভব নহে, কহিলেন, “অলরাইট বাবু, দেখা যাউক কতদূর কী হয় ।” এই বলিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব মকদ্দমার দিন ফিরাইয়া দিয়া মফস্বলভ্ৰমণে বাহির হইলেন । এ দিকে জয়েন্ট সাহেব জমিদারকে পত্র লিখিলেন, “তোমার নায়েব আমার ভূতাদিগকে অপমান করিয়া আমার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে, আশা করি, তুমি ইহার সমুচিত প্ৰতিকার করিবে ।” জমিদার শশব্যস্ত হইয়া তৎক্ষণাৎ হরকুমারকে তলব করিলেন । নায়েব আদ্যোপােন্ত সমস্ত ঘটনা খুলিয়া বলিলেন । জমিদার অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “সাহেবের মেথর যখন চারি সের ঘি চাহিল তুমি বিনা বাক্যব্যয়ে তৎক্ষণাৎ কেন দিলে না । তোমার কি বাপের কড়ি লাগিতা।”