পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wet VS NR রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ফাগুনমাসে শিথিল কেশে শিহরি দিয়ে হাওয়া, মেলিয়া দিয়া ভীমাচল হতে অজানা কোন অধীরতায় কারও বা আসা যাওয়া । জোনাকিদল তিমিরতলে বিধিল আলো-সুচি, ভোরের যেই লাগিল ছোওয়া সে আলো গেল মুছি । তেমনি সব চিহ্ন নিয়ে মিলালো ওরা কত চৈত্রশেষে মাধবীবন Gins CN9g NOV-bi || “বিহবলতা’ কবিতার (পৃ ২৭ । ৭ ছত্রের পর) ‘তাই মোর কণ্ঠস্বর/আবেগে জড়িত রুদ্ধ ।” ছত্র দুইটি পাণ্ডুলিপিদুষ্টে স্বতন্ত্র প্রচারিত বীথিকা গ্রন্থের রবীন্দ্ৰ-শতবর্ষপূর্তি সংস্করণে সংযোজিত হইয়াছে । তদবধি ঐ পাঠ স্বতন্ত্র গ্রন্থে প্রচলিত । রচনাবলীর বর্তমান মুদ্রণে (পৌষ ১৩৯৪) ছত্ৰ দুইটি যুক্ত হইল । “প্ৰাণের ডাক’ কবিতার নিম্নমুদ্রিত স্তবক ‘প্রবাসী’তে ও পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায় । “প্ৰবাসীতে (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১)। উহা প্ৰথম স্তবকরূপে মুদ্রিত এখনো কি ক্লান্তি ঘোচে নাই, ওঠে। তবু ওঠে, বৃথা হােক তবুও বৃথাই পথপানে ছোটো । স্বপ্ন যত ঘিরে ছিল রাতে, অবসান্ন তারাদের সাথে মিলালো আলোকে অবগাহি । আয়ুঃক্ষীণ নিঃস্ব দীপগুলি নিশীথের স্মৃতি গেছে ভুলি, অন্ধ আঁখি শূন্যে আছে চাহি । ‘গোধূলি’ কবিতাটি ১৩৩৯ সালে কার্তিকের ‘বিচিত্ৰা” মাসিকপত্রে নন্দলাল বসুর রঙিন চিত্র-সহ ‘প্রাসাদ ভবনে’ নামে প্ৰথম মুদ্রিত । কবিতাশেষে সম্পাদকীয় মন্তব্যে জানা যায়, “এই কবিতা নন্দলালবাবুর ছবি দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন । পঞ্চাশটি নূতন ছবি ও তদন্দুদ্ষ্টে লিখিত কবির পঞ্চাশটি নুতন কবিতা শীঘ্রই ‘বিচিত্রিতা’ নামে বই আকারে বাহির হইবে ।” ১৩৪০ সালে সেই কবিতার একত্রিশটি ‘বিচিত্রিতা’ গ্রন্থে সংকলিত হয় । বাকি কবিতার অধিকাংশ বীথিকায় চিত্র বাদ দিয়া মুদ্রিত হইয়াছে। “জয়ী” কবিতাটি রচনার স্থান-কাল জানা যায় নাই। উহার প্রথম স্তবকটির আদিপাঠ ( ও তাহার ইংরেজি) পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়, রচনার স্থানকালের উল্লেখ-সহ বাংলা স্তবক মুদ্রিত