পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ °R 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মাঝখানে অনেকখানি ফাক । বিলেত থেকে ফিরে এসে দেখি, কনির হয়ে গেছে বিয়ে । মাথায় উঠেছে কাপড়, সিথেয় সিঁদুর, শান্ত হয়েছে চোখের দৃষ্টি ; স্বর হয়েছে গভীর । ওষুধ বানিয়ে থাকি । উন্নতির আশা আছে এইরকম জনশ্রুতি । শিবরামবাবুর জামাই রেখে বিলিতি চালে তাস খেলেন সন্ধ্যাবেলায় বন্ধুমণ্ডলীতে, তার সিনেমা দেখবারও অপরিমিত শখ । শিবরামবাবু চেষ্টা করেছেন পাপ-সংশোধনের, উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে তর্কের ফলে, তিনি চলে গেছেন হুশিয়ারপুরে । حسي এমনি চলচে আমার দিন কর্মচক্রে বাধা । গ্রামের বাডি সংস্কার করব বলে গিয়েছি সেখানে কাজের ছুটি নিয়ে । তখন কনি এসেছে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মায়ের কাছে । দূরের থেকে দেখি তাকে বাগানে, বসে আছে অশব্থগাছের বাধা চাতালে । কতবার যাই-যাই করে মন, ভেবে পাই নে যাবার অধিকার এখনো আছে কি নেই । রবীন্দ্রনাথের “মাটির বাসা’ “শেষবোলাকার ঘরখানির উদ্দেশে লিখিত ‘শ্যামলী’ কবিতা-প্রসঙ্গে ‘শেষ সপ্তক’-এর চুয়াল্লিশ-সংখ্যক কবিতাও দ্রষ্টব্য। ২৫ বৈশাখ ১৩৪২ তারিখে শ্যামলীগৃহ-প্ৰবেশ উপলক্ষে শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ করকে লিখিত কবিতাটিও ১৩৪২ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসী হইতে এই প্রসঙ্গে উদধূত করা যাইতে পারে