পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ বীথিকা দানব বিলুপ্তি আনে, আঁধারের পঙ্কিল বুদবুদে নিখিলের সৃষ্টি দেয় মুদে ; কণ্ঠ দেয়। রুদ্ধ করি, বাণী হতে ছিন্ন করে সুর, ভাষা হতে অর্থ করে দূর ; উদয়দিগন্তমুখে চাপা দেয় ঘন কালো আঁধি, প্ৰেমেরে সে ফেলে বাধি সংশয়ের ডোরে ; ভক্তিপাত্র শূন্য করি শ্রদ্ধার অমৃত লয় হরে । জগদ্দল শিলা দিয়ে রচে সেন্থা মুক্তির কবর । কলুষিত শ্যামল প্ৰাণের উৎস হতে অবারিত পুণ্যস্রোতে ধৌত হয় এ বিশ্বধরণী দিবসরজনী । হে নগরী, আপনারে বঞ্চিত করেছ সেই স্নানে, রচিয়াছ আবরণ কঠিন পাষাণে । আছে নিত্য মলিন অশুচি, তোমার ললাট হতে গেছে ঘুচি প্ৰকৃতির স্বহস্তের লিখা আশীৰ্ব্বাদটিকা । উষা দিব্যদীপ্তিাহারা তোমার দিগন্তে এসে । রজনীর তারা তোমার আকাশদুষ্ট জাতিচু্যুত, নষ্ট মন্ত্র তার, বিক্ষুব্ধ নিদ্রার হারালো সে মিল পূজাগান্ধী নন্দনের পারিজাতি-সাথে শান্তিহীন রাতে । হেথা সুন্দরের কোলে । স্বগের বীণার সুর ভ্ৰষ্ট হল বলে উদ্ধত হয়েছে উন্ধের্ব বীভৎসের কোলাহল, গর্বভরে শৃঙ্খলের পূজা করে ।