পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[শান্তিনিকেতন `br *NI S *); বীথিকা শিশুকাল হতে হেথা সুখে-দুঃখে-ভরা দিন-রাত কবেছে তোমার প্রাণে বিচিত্র বর্ণের রেখাপাত । কাশের মঞ্জরী -শুভ্ৰ দিশা, নিস্তািন্ধ মালতী-বারা নিশা, দিগন্ত-চমক-দেওয়া সূর্যাস্তের রশ্মি জ্বলোজ্বলো । এখনো তেমনি হেথা আসিবে দিনের পরে দিন, তবুও সে আজ হতে চিরকাল রবে তুমি-হীন । বসে আমাদের মাঝখানে কীভূ। যে তোমার গানে গানে ভরিবে না। সুখসন্ধ্যা, মনে হয়, অসম্ভব অতি— · বর্ষে বর্ষে দিনে দিনে প্ৰমাণ করিবে সেই ক্ষতি । বারে বারে নিতে তুমি গীতিস্রোতে কবি-আশীর্বাণী, তাহারে আপনি পাত্ৰে প্ৰণামে ফিরায়ে দিতে আনি । জীবনের দেওয়া-নেওয়া সেই ঘুচিল অন্তিম নিমেষেই— স্নেহােজ্বল কল্যাণের সে সম্বন্ধ তোমার আমার গানের নির্মাল্য -সাথে নিয়ে গেলে মরণের পার । হায় হায়, এত প্রিয়, এতই দূর্লভ যে সঞ্চয় একদিনে অকস্মাৎ তারও যে ঘটিতে পারে লয় ! তার ব্যথা কিছুই না বাজে, সৃষ্টির নেপথ্যে সেও আছে তব দৃষ্টির ছায়ায়— স্তব্ধবীণা রঙ্গগৃহে মোরা বৃথা করি ‘হায় হায়” । হে বৎসে, যা দিয়েছিলে আমাদের আনন্দভাণ্ডারে তারি স্মৃতিরূপে তুমি বিরাজ করিবে চারিধারে । আমাদের আশ্রম-উৎসব যখনই জাগাবে গীতরব তখনি তাহার মাঝে অশ্রুত তোমার কণ্ঠস্বর Գ Գ