পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশপ্ৰদীপ৷ তর্ক নারীকে দিবেন বিধি পুরুষের অন্তরে মিলায়ে সেই অভিপ্ৰায়ে রাচিলেন সূক্ষ্মশিল্পকারুময়ী কায়া যারো নাহি যায় ধরা, যাহা শুধু জাদুমন্ত্রে ভরা, যাহারে অন্তরতম হৃদয়ের অদৃশ্য আলোকে দেখা যায় ধ্যানাবিষ্ট চোখে, ছন্দোজালে বাধে যার ছবি না-পাওয়া বেদনা দিয়ে কবি । যার ছায়া সুরে খেলা করে চঞ্চল দিঘির জলে আলোর মতন থারথরে । “নিশ্চিত পেয়েছি’ ভেবে যারে অবুঝ আঁাকড়ি রাখে আপন ভোগের অধিকারে, মাটির পাত্রটা নিয়ে বঞ্চিত সে অমৃতের স্বাদে, ডুবায় সে ক্লান্তি-অবসাদে সোনার প্রদীপ শিখা-নেভা । দূর হতে অধিরাকে পায় যে বা চরিতার্থ করে সেই কাছের পাওয়ারে, পূৰ্ণ করে তারে । নারীস্তব শুনালেম । ছিল মনে আশা উচ্চতত্তে-ভরা এই ভাষা উৎসাহিত করে দেবে মন ললিতার, পাব পুরস্কার । হয় রে, দুগ্রহগুণে কাব্য শুনে ঝকঝকে হাসিখানি হোসে কহিল সে, “ তোমার এ কবিত্বের শেষে বসিয়েছে মহোন্নত যে-কটা লাইন আগাগোড়া সত্যহীন । ওরা সাব-কটা বানানো কথার ঘটা, সদরোতে যত বড়ো অন্দরোতে ততখানি ফাকি । छान्ति ना किদূর হতে নিরামিষ সাত্ত্বিক মৃগয়া, নাই পুরুষের হাড়ে অমায়িক বিশুদ্ধ এ দয়া ।” আমি শুধালেম, “আর, তোমাদের দু’” >忠》