পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[এপ্রিল ১৯৩৯] আকাশপ্ৰদীপ৷ অপূর্ণের সাথে দ্বন্দ্বে চাঞ্চল্যের শক্তি দেয় তারে, রসে রূপে বিচিত্র আকারে । এরে নাম দিয়ে মোহ যে করে বিদ্রোহ এড়ায়ে নদীর টান সে চাহে নদীরে, পড়ে থাকে তীরে । পুরুষ যে ভাবের বিলাসী, মোহাতরী বেয়ে তাই সুধাসাগরের প্রান্তে আসি আভাসে দেখিতে পায় পর্যপারে অরাপের মায়া অসীমের ছায়া । অমৃতের পাত্র তার ভরে ওঠে কানায় কানায় স্বল্প জানা ভুরি অজানায় ।” কোনো কথা নাহি বলে সুন্দরী ফিরায়ে মুখ দ্রুত গেল চলে । পরদিন বটের পাতায় গুটিকত সদ্যাফোটা বেলফুল রেখে গেল পায় । বলে গেল, “ক্ষমা করো, অবুঝের মতো মিছেমিছি বকেছিনু কত ।” ঢেলা আমি মেরেছিনু চৈত্রে-ফোটা কাঞ্চনের ডালে, তারি প্রতিবাদে ফুল ঝরিল এ স্পর্ধিত কপালে। নিয়ে এই বিবাদের দান এ বসন্তে চৈত্র মোর হল অবসান । দক্ষিণায়নের সূর্যোদয় আড়াল ক’রে সকালে বসি চাতালে । অনুকুল অবকাশ ; তখনো নিরেট হয়ে ওঠে নি। কাজের দাবি, বুকে পড়ে নি লোকের ভিড় । পায়ে পায়ে সময় দলিত করে দিয়ে । লিখতে বসি, কাটা খেজুরের গুড়ির মতো ছুটির সকাল কলমের ডগায় চুইয়ে দেয় কিছু রস । 26