পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওকে আমার কবিতা শোনাবার দাবি সকলের আগে । আমি বললেম, “সুরসিকে, খুশি হবে না, এ গদ্যকাব্য ।” কপালে ভুকুঞ্চনের ঢেউ খেলিয়ে বললে, “আচ্ছা, তাই সই।” সঙ্গে একটু স্তুতিবাক্য দিলে মিলিয়ে ; বললে, “তোমার কণ্ঠস্বরে 908 3 903 ” ব’লে গলা ধরলে জড়িয়ে । আমি বললেম, “কবিত্বের রঙ লাগিয়ে নিচ্ছ কবিকণ্ঠ থেকে তোমার বাহুতো ?” সে বললে, “অকবির মতো হল তোমার কথাটা ; কবিত্বের সম্পর্শ লাগিয়ে দিলেম তোমারই কণ্ঠে, হয়তো জাগিয়ে দিলেম গান ।” শুনলুম নীরবে, খুশি হলুমনিরুত্তরে। মনে-মনে বললুম, প্রকৃতির ঔদাসীন্য অচল রয়েছে অসংখ্য বর্ষকালের চুড়ায়, তারই উপরে একবারমাত্র পা ফেলে চলে যাবে আমার শুনায়নী, (XSSCSGls STVSS | সেই ক্ষণিকের কাছে হার মানবে বিরাটকালের বৈরাগ্য । অস্তাচল পেরিয়ে আজ উঠেছে আমার জীবনের উদয়া চলশিখরে । [ ? শান্তিনিকেতন এপ্রিল ১৯৩৯] ሕጫ