পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्मदछiएठा একই বিশ্ব লক্ষকোটি করে জানে রূপে রসে নানা অনুমানে । লক্ষকোটি কেন্দ্ৰ তারা জগতের, সংখ্যাহীন স্বতন্ত্ৰ পথের জীবনযাত্রার যাত্রী, निब्रांखेिं নিজের স্বাতন্ত্র্যরক্ষা-কাজে একান্ত রয়েছে বিশ্ব-মাঝে । প্ৰজাপতি বসে আছে যে কাব্যপুথির পরে স্পর্শ তারে করে, চক্ষে দেখে তারে, তার বেশি সত্য যাহা তাহা তার কাছে সত্য নয় vଅଜ୍ଞାଵଧ୍ୟ । ও জানে কাহারে বলে মধু, তবু মধুর কী সে-রহস্য জানে না ও কাভু । পুষ্পপাত্রে নিয়মিত আছে। ওর ভোজ প্ৰতিদিন করে তার খোজ কেবল লোভের টানে, কিন্তু নাহি জানে লোভের অতীত যাহা । সুন্দর যা, অনিবৰ্চিনীয়, যাহা প্ৰিয়, সেই বোধ সীমাহীন দূরে আছে তার কাছে । আমি যেথা আছি মন যে আপন টানে তাহ হতে সত্য লয় বাছি । যাহা নিতে নাহি পারে তাই শূন্যময় হয়ে নিত্য ব্যাপ্ত তার চারি ধারে । কী আছে বা নাই কী এ, সে শুধু তাহার জানা নিয়ে । জানে না যা, যার কাছে স্পষ্ট তাহ, হয়তো-বা কাছে এখনি সে এখানেই আছে আমার চৈতন্যসীমা অতিক্রম করি বহুদূরে রূপের অন্তরদেশে অপরাপপুরে । সে আলোকে তার ঘর যে আলো আমার অগোচর । শ্যামলী । শান্তিনিকেতন ১০ মার্চ ১৯৩৯ S 8v)