পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতাসেতে জাল বুনে দেয় মন্দির তন্দ্রার । স্বপ্নস্রোতে লীলার কর্ণধার গোধূলিতে পাল তুলে দাও ধূসরচ্ছন্দার । অন্তরবির ছায়ার সাথে লুকিয়ে আঁধার আসন পাতে । ঝিল্লিরবে গগন কঁপে, দিগঙ্গানা কী জপ জাপে, হাওয়ায় লাগে মোহপরশ রজনীগন্ধার । হৃদয়-মাঝে লীলার কর্ণধার একতারাতে বেহাগ বাজাও বিধুর সন্ধ্যার । রাতের শঙ্খকুহার ব্যেপে গভীর রব উঠে কেঁপে । সঙ্গবিহীন চিরন্তনের বিরহগান বিরাট মনের শূন্যে করে নিঃশবদের বিষাদবিস্তার । তুমি আমার লীলার কর্ণধার তারার ফেনা ফেনিয়ে তোল আকাশগঙ্গার । বক্ষে যাবে বাজে মরণাভেরি ঘুচিয়ে ত্বরা ঘুচিয়ে সকল দেরি, প্রাণের সীমা মৃত্যুসীমায় সূক্ষ্ম হয়ে মিলায়ে যায়, উধের্ব তখন পাল তুলে অন্তিম যাত্রার । ব্যক্ত কর, হে মোর কর্ণধার, আঁধারহীন অচিন্ত্য সে অসীম অন্ধকার । >(?○