পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সানাই আলগা আঁচল অন্যমনে বাধি নি ব্ৰোচ দিয়ে । কুটিকুটি ছিড়তেছিলেম একে-একে পুরোনো সব চিঠিছড়িয়ে রইল মেঝের ”পরে, বঁট দেবে না কেউ বোশেখমাসের শুকনো হাওয়া ছাড়া । ডাক আনিল পাড়ার পিয়ন বুড়ো, দিলেম সেটা বঁকাপা হাতে রিডাইরেটেড করে । রাস্তা দিয়ে চলে গেল তপসি-মাছের ইয়াক, চমকে উঠে। হঠাৎ পড়ল মনে নাই কোনো দরকার । মোটর-গাড়ির চেনা শব্দ কখন দূরে মিলিয়ে গেছে। সাড়ে-দশটা বেলায় পেরিয়ে গিয়ে হাজরা রোডের মোড় । উজাড় হল ঘর, দেওয়ালগুলো অকুঝ-পারা তাকিয়ে থাকে ফ্যাকাশে দৃষ্টিতে যেখানে কেউ নেই । সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছেদিল অবিনাশ ট্যাক্সিগাড়ি-’পরে । এই দরোজায় শেষ বিদায়ের বাণী শোনা গেল ওই ভক্তের মুখেবললে, “আমায় চিঠি লিখো ।” রাগ হল তাই শুনে কেন জানি বিনা কারণেই । অগস্ট ১৯৩৮] শেষ কথা রাগ করা নাই কর, শেষ কথা এসেছি বলিতে তোমার প্রদীপ আছে, নাইকো সলিতে । শিল্প তার মূল্যবান, দেয় না। সে আলো, চোখেতে জড়ায় লোভ, মনেতে ঘনায় ছায়া কালো অবসাদে । তবু তারে প্রাণপণে রাখি যতনেই, ছেড়ে যাব তার পথ নেই । অন্ধকারে অন্ধদৃষ্টি নানাবিধ স্বপ্ন দিয়ে ঘেরে আচ্ছন্ন করিয়া বান্তবোরে । S6