পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဈဦချဲ၊ R (N Y d \Od মন যে দরিদ্র, তার তর্কের নৈপুণ্য আছে, ধনৈশ্বৰ্য নাইকো ভাষার । কল্পনাভাণ্ডার হতে তাই করে ধার বাক্য-অলংকার । কখন হাদয় হয় সহসা উতলা তখন সাজিয়ে বলা আসে। অগত্যাই ; শুনে তাই কেন তুমি হেসে ওঠ, আধুনিক প্রিয়ে, অত্যক্তির অপবাদ দিয়ে । তোমার সম্মানে ভাষা আপনারে করে সুসজ্জিত, তারে তুমি বারে বারে পরিহাসে কোরো না লজ্জিত । তোমার আরতি-অর্ঘ্যে অত্যক্তিবঞ্চিত ভাষা হেয়, অসত্যের মতো অশ্রদ্ধেয় । নাই তার আলো, তার চেয়ে মীেন ঢের ভালো । তব অঙ্গে অত্যুক্তি কি কর না বহন সন্ধ্যায় যখন দেখা দিতে আসি । তখন যে হাসি হাস সে তো নহে মিতব্যয়ী প্ৰত্যহের মতোঅতিরিক্তি মধু কিছু তার মধ্যে থাকে তো সংহত । সে হাসির অতিভাষা মোর বাক্যে ধরা দেবে নাই সে প্ৰত্যাশা ৷ অলংকার যত পায় বাক্যগুলো তত হার মানে, তাই তার অস্থিরতা বাড়াবাড়ি ঠেকে তব কানে । কিন্তু, ওই আশামানি শাড়িখানি ও কি নহে অত্যক্তির বাণী । তোমার দেহের সঙ্গে নীল গগনের ব্যঞ্জনা মিলায়ে দেয়, সে যে কোন অসীম মনের আপন ইঙ্গিত, সে যে অঙ্গের সংগীত । আমি তারে মনে জানি সত্যেরও অধিক । সোহাগবাণীরে মোর হেসে কেন বল কাল্পনিক । Srd