পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Set 3 ‘রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ঘুমভাঙা পাশের বাড়িতে পাড়াপ্রতিবেশী থাকে। হুংকার ছাড়িতে । ভদ্রতার বোধ যায় চলে, মনে হয় নরহত্যা পাপ নয় বলে । কুকুরটা, সর্ব অঙ্গে ক্ষত, বিছানায় শোয় এসে, আমি নিদ্ৰাগত । নিজেরে জানান দেয় তীব্ৰকণ্ঠে আত্মশ্লাঘী সতী রণচণ্ডা চণ্ডী মূর্তিমতী । মোটা সিঁদুরের রেখা আঁকা, হাতে মোটা শাখা, শাড়ি লাল-পেড়ে, খাটো খোপা-পিণ্ডটুকু ছেড়ে ঘোমটার। প্ৰাম্ভ ওঠে টাকের সীমায়অস্থির সমস্ত পাড়া এ মেয়ের সতী-মহিমায় । এ গলিতে বাস মোর, তবু আমি জন্ম-রোমান্টিক আমি সেই পথের পথিক যো-পথ দেখায়ে চলে দক্ষিনে বাতাসে, পাখির ইশারা যায় যো-পথের অলক্ষ্য আকাশে । মৌমাছি যে-পথ জানে মাধবীর অদৃশ্য আহবানে । এটা সত্য কিংবা সত্য ওটা মোর কাছে মিথ্যা সে তর্কটা । আকাশকুসুম-কুঞ্জবনে, नेिकानन् ভিত্তিহীন যে-বাসা আমার সেখানেই পলাতক আসা-যাওয়া করে বার-বার । আজি এই চৈত্রের খেয়ালে মনেরে জড়ালো ইন্দ্ৰজালে । দেশকাল ভুলে গেল তার বাধা তাল । নায়িকা আসিল নেমে আকাশপ্ৰদীপে আলো পেয়ে । সেই মেয়ে নহে বিংশ-শতকিয়া ছন্দোহারা কবিদের ব্যঙ্গহাসি-বিহসিত প্ৰিয়া । সে নয় ইকনমিকস-পরীক্ষাবাহিনী আতপ্ত বসন্তে আজি নিশ্বসিত যাহার কাহিনী । অনসূয়া নাম তার, প্ৰাকৃতভাষায় কারে সে বিস্মৃত যুগে কাদায় হাসায়,