পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সানাই আমি রহিতাম। চেয়ে হেসে উঠিতম গেয়ে“চলে গেলে হে রূপসী, মুখখানি ঢেকে, বঞ্চিত কর নি মোরে, পিছনে গিয়েছ কিছু রেখে ।” হায় রে, হয় নি কিছু বলা, হয় নি। ছায়ার পথে ছায়াসম চলা, হয়তো সে শিলাতল-"পারে এখনো পড়িছে কাব্য শুনগুন স্বরে । অসম্ভব পূর্ণ হয়েছে বিচ্ছেদ, যাবে ভাবিনু মনে, একা একা কোথা চলিতেছিলাম নিষ্কারণে, । শ্রাবণের মেঘ কালো হয়ে নামে বনের শিরে, খর বিদ্যুৎ রাতের বক্ষ দিতেছে চিরে, দূর হতে শুনি বারুণী নদীর তরল রবমন শুধু বলে, অসম্ভব এ অসম্ভব । এমনি রাত্রে কতবার, মোর বাহুতে মাথা, শুনেছিল সে যে কবির ছন্দে কাজারি-গাথা । রিমিঝিমি ঘন বর্ষণে বন রোমাঞ্চিত, দেহে আর মনে এক হয়ে গেছে যে-বাঞ্ছিত এল সেই রাতি বহি শ্রাবণের সে-বৈভবমন শুধু বলে, অসম্ভব। এ অসম্ভব । দূরে চলে যাই নিবিড় রাতের অন্ধকারে, আকাশের সুর বাজিছে শিরায় বৃষ্টিধারে । যুখীবন হতে বাতাসেতে আসে। সুধার স্বাদ, বেণীবাধনের মালায় পেতেম। যে-সংবাদ এই তো জেগেছে। নবমালতীর সে-সীেরভমন শুধু বলে, অসম্ভব। এ অসম্ভব । ভাবনার ভুলে কোথা চলে যাই অন্যমনে পথসংকেত কত জানায়েছে যে-বাতায়নে । শুনিতে পেলেম সেতারে বাজিছে সুরের দান অশ্রুজিলের আভাসে জড়িত আমারি গান । কবিরে ত্যজিয়া রেখেছি কবির এ গৌরবমন শুধু বলে, অসম্ভব এ অসম্ভব । So