পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q ؟ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী একটু সবুর করো, আরো কিছু বলে যাই, কথার চরম পারে তার পরে চলে যাই। যে গিয়েছে তার লাগি খুঁচিয়ে না চেতনা, ছায়ারে অতিথি করে আসনটা পেতো না। বৎসরে বৎসরে শোক করা রীতিটার মিথ্যার ধাক্কায় ভিত ভাঙে স্মৃতিটার। ভিড় ক’রে ঘট-করা ধরা-বাধা বিলাপে পাছে কোনো অপরাধ ঘটে প্রথা-খিলাপে, ভারতে ছিল না লেশ। এই-সব খেয়ালেরকবি-’পরে ভার ছিল নিজ মেমোরিয়ালের। “ভুলিব না, ভুলিব না।” এই বলে চীৎকার বিধি না শোনেন কাভু, বলে তাহে হিত করে। যে ভোলা সহজ ভোলা নিজের অলক্ষ্যে সে-ই ভালো হৃদয়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে। শুষ্ক উৎস খুঁজে মরুমাটি খোড়াটা, তেলহীন দীপ লাগি দেশালাই পোড়াটা, যে-মোষ কোথাও নেই। সেই মোষ তাড়ানো, কাজে লাগিবে না। যাহা সেই কাজ বাড়ানোশক্তির বাজে ব্যয় এরে কয় জেনো হে, উৎসাহ দেখাবার সদুপায় এ নহে। মনে জেনো জীবনটা মরণেরই যজ্ঞস্থায়ী যাহা, আর যাহা থাকার অযোগ্য, সকলি আহুতিরূপে পড়ে তারি শিখাতে, টিকে না যা কথা দিয়ে কে পরিবে টিকাতে। ছাই হয়ে গিয়ে তবু বাকি যাহা রহিবে আপনার কথা সে তো আপনিই কহিবে। নারীপ্রগতি শুনেছিনু নাকি মোটরের তেল পথের মাঝেই করেছিল ফেল, তবু তুমি গাড়ি ধরেছ দৌড়েহেন বীরনারী আছে কি গৌড়ে। নারীপ্রগতির মহাদিনে আজি নারীপদগতি জিনিল এ বাজি ।