পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR S V রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী আলো দিয়ে তৈরি তার রূপ। বললেম, আমি চণ্ডালের মেয়ে, কুয়োর জল অশুদ্ধ । তিনি বললেন, যে-মানুষ আমি তুমিও সেই মানুষ ; সব জলই তীৰ্থজল যা তাপিতকে স্নিগ্ধ করে, তৃপ্ত করে তৃষিতকে । প্রথম শুনলুম। এমন কথা, প্রথম দিলুম এক গণ্ডুষ জল, যার পায়ের ধুলোর এক কণা নিতে কেঁপে উঠতি বুক । মা । ওরে অবোধ মেয়ে, হঠাৎ এত বড়ো হল তোর বুকের পাটা ! এ পাগলামির প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে । জানিস নে কোন কুলে তোর জন্ম ? প্রকৃতি । কেবল একটি গণ্ডুষ জল নিলেন আমার হাত থেকে, অগাধ অসীম হল সেই জল। সাত সমুদ্র এক হয়ে গেল সেই জলে, ডুবে গেল আমার কুল, ধুয়ে গেল আমার জন্ম । মা ! তোর মুখের কথা সুদ্ধ বদলে গেছে যে ! জাদু করেছে তোর কথাকে । কী বলিস নিজে বুঝতে পারিস কিছু ? প্রকৃতি । সমস্ত শ্ৰাবন্তীনগরে আর কি কোথাও জল ছিল না, মা । এলেন কেন এই কুয়োরই ধারে । একেই তো বলি নতুন জন্মের পালা । আমাকে দান করতে এলেন মানুষের তৃষ্ণা মেটাবার শিরোপা । এই মহাপুণ্যই খুঁজছিলেন । যে-জলে ব্ৰত হল পূর্ণ সে-জল তো আর কোথাও পেতেন না, কোনো তীর্থেই না । তিনি বললেন, বনবাসের গোড়াতেই জানকী এই জলেই স্নান করেছিলেন, সে-জল তুলে এনেছিল গুহক চণ্ডাল । সেই অবধি নেচে উঠছে আমার মন, গভীর কণ্ঠে শুনতে পাচ্ছি দিনরাত-- দাও জল, দাও জল । 하iR বলে দাও জল, দাও জল ! দেব আমি, কে দিয়েছে হেন সম্বল । KG GA-9GN OG lae (e.g. চাতক বিহবল प्रN3 छक्न, प्रॉ9 छल । ভূমিতলে হারা উৎসের ধারা । অন্ধকারে কারাগারে । কার সুগভীর বাণী क्रिष्ठ्ल शनिी কালো শিলাতল দাও জল, দাও জল । মা। কী জানি, বাছা, ভালো ঠেকছে না। ওদের মন্তরের খেলা আমি বুঝি নে। আজ তোর কথা চিনছি নে, কাল তোর মুখ চিনতেই পারব না। ওদের এ যে প্ৰাণবদলানো মন্তর । প্রকৃতি । চিনতে পার নি এতদিন । যিনি চিনেছেন তিনি চেনাবেন । তাই আছি তাকিয়ে । রাজদুয়ারে দুপুরের ঘণ্টা বাজে, মেয়েরা জল নিয়ে যায় ঘরে, শঙ্খচিল একলা ওড়ে দূর আকাশে, আমার ঘাট নিয়ে এসে বসি কুয়োতলায় পথের ধারে । मा । बाक्र छGन्म । প্রকৃতি । পথিকের জন্যে । মা । তোর কাছে কোন পথিক আসবে, পাগলি ! প্রকৃতি । সেই এক পথিক, মা, সেই এক পথিক । তার মধ্যে আছে বিশ্বের সকল পথের সব