পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR SR 8 ब्रदोक्ष-प्रभावकी মা । মরে পড়ে গেলি নে তাই দেখে ! তারই তো ঝলক লেগেছিল আমার প্রাণের মধ্যে ; মনে হল, আর সইবে না । প্রকৃতি । যে দুঃখের রূপ দেখেছি সে তো তার একলার নয়, সে আমারও ; আমাদের দু-জনের। ভীষণ আগুনে গ’লে মিশেছে সোনার সঙ্গে তাবা । भों । उठश श्व्न व्षों (७ी भ००१ প্রকৃতি । ভয়ের চেয়ে অনেক বেশি- মনে হল দেখলুম, সৃষ্টির দেবতা প্রলয়ের দেবতার চেয়ে ভয়ংকরী- আগুনকে চাবক্যাচ্ছেন তার কাজে, আর আগুন কেবলই গোমরাচ্ছে গর্জাাচ্ছে । সপ্তধাতুর কোটােতে কী আছে তার পায়ের সামনে- প্ৰাণ না মৃত্যু ? আমার মনে ফুলতে লাগল একটা আনন্দ । তাকে কী বলব ? নতুন সৃষ্টির বিরাট বৈরাগ্য । ভাবনা নেই, ভয় নেই, দয়া নেই, দুঃখ নেই— ভাঙছে, জ্বলে উঠছে, গলে যাচ্ছে, ছিটকে পড়ছে স্ফুলিঙ্গ । থাকতে পারলুম না, আমার সমস্ত শরীর-মন নোচে নেচে উঠল। অগ্নিশিখার মতো । ዓiiማ হে মহাদুঃখ, হে রুদ্র, হে ভয়ংকর, ওহে শংকর, হে প্ৰলয়ংকর । হােক জটানিঃসৃত অগ্নিভুজঙ্গমদংশনে জর্জর স্থাবর জঙ্গম, घन्म घन्म दन्म-दोन्म, दlन्म-मन्म दlन्म-मन्म পিণাক টংকারো । মা ! কী রকম দেখলি তোর ভিক্ষুকে । প্রকৃতি । দেখলুম, তার অনিমেষ দৃষ্টি বহুদূরে তাকিয়ে, গোধূলি-আকাশের তারার মতো । ইচ্ছে হল, আপনার কাছ থেকে চলে যাই অনন্তযোজন দূরে । মা ! তুই আয়নার সামনে তখন নাচছিলি— তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন ? প্রকৃতি । ধিক ধিক, কী লজ্জা ! মনে হচ্ছিল, থেকে থেকে চোখ লাল হয়ে উঠছে, অভিশাপ দিতে যাচ্ছেন । আবার তখনি পা দিয়ে মাড়িয়ে দলে ফেলছেন রাগের অঙ্গারগুলো । শেষকালে দেখলেম, তার রাগ ফিরল কাপতে কঁাপিতে শেলের মতো নিজের দিকে, বিধল গিয়ে মর্মের মধ্যে । মা । সমস্ত সহ্য করলি তুই ? প্রকৃতি । আশ্চর্য হয়ে গেলুম । আমি, এই আমি, এই তোমার মেয়ে, কোথাকার কে তার ঠিকানা নেই- তার দুঃখ আর এর দুঃখ আজ এক । কোন সৃষ্টির যজ্ঞে এমন ঘটে— এত বড়ো কথা কেউ কোনোদিন ভাবতে পারত ! মা । এই উৎপাত শান্ত হবে কতদিনে । প্রকৃতি ।। যতদিন-না। আমার দুঃখ শাস্ত হবে । ততদিন দুঃখ তাকে দেবই । আমি মুক্তি যদি না পাই তিনি মুক্তি পাবেন কী করে । মা । তোর আয়না শেষ দেখেছিস কবে । প্রকৃতি । কাল সন্ধেবেলায় । বৈশালীর সিংহদরজা পেরিয়েছেন কিছুদিন আগে, গভীর রাত্রে । বোধ হয় গোপনে, শ্রমণদের না জানিয়ে । তার পরে কখনো দেখেছি, নদী পেরলেন খেয়া নীেকোয় ; দেখেছি। দুৰ্গম পাহাড়ে ; দেখেছি। সন্ধে হয়ে এসেছে, মাঠে তিনি একা ; দেখেছি। অন্ধকারে, গভীর রাত্রে, বনের পথে । যত যাচ্ছে দিন, স্বপ্নের ঘোর আসছে ঘন হয়ে, চলেছেন কোনো বিচার না করে, নিজের সঙ্গে সমস্ত দ্বন্দ্ব শেষ করে দিয়ে । মুখে একটা বিহবলতা, দেহে একটা শৈথিল্য- দুই চোখের